
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৫ এপ্রিল, ২০২২, 3:20 PM

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ছে না
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বৃদ্ধির কোনও পরিকল্পনা নেই। বয়সসীমা বাড়ানো হলে নিয়োগ পরীক্ষা বেশি প্রতিযোগিতামূলক ও ৩০-এর কম বয়সীদের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি হবে বলে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে না। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এ কথা জানিয়েছেন। মঙ্গলবাদ (৫ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে সরকারি দলের সংসদ সদস্য হাবিবে মিল্লাতের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন। জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয় প্রশ্নটি। এসময় প্রতিমন্ত্রী জানান, অতীতে বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বড় ধরনের সেশনজট থাকলেও বর্তমানে উল্লেখযোগ্য সেশনজট নেই বললেই চলে। ফলে শিক্ষার্থীরা সাধারণত ১৬ বছরে এসএসসি, ১৮ বছরে এইচএসসি এবং ২৩ বা ২৪ বছরে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করছে।
সাধারণ প্রার্থীদের জন্য চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বছর বিধায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পরও তারা চাকরিতে আবেদনের জন্য কমপক্ষে ৬ থেকে ৭ বছর সময় পাচ্ছে। এ ছাড়া ৩০ বছর বয়সসীমার মধ্যে একজন প্রার্থী চাকরির জন্য আবেদন করলে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে ১ থেকে ২ বছর সময় লাগলেও তা গণনা করা হয় না। প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, সম্প্রতি চাকরি হতে অবসর গ্রহণের বয়সসীমা ৫৭ হতে ৫৯ বছরে উন্নীত হওয়ায় বর্তমানে শূন্য পদের সংখ্যা স্বাভাবিকভাবেই কমেছে। এই প্রেক্ষাপটে চাকরিতে প্রবেশের বয়সমীসা বৃদ্ধি করা হলে বিভিন্ন পদের বিপরীতে চাকরি প্রার্থীদের সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাবে। যার ফলে নিয়োগের ক্ষেত্রে অধিকতর প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হতে পারে। এতে করে বর্তমানে ৩০ বছরের ঊর্ধ্ব বয়সীরা চাকরিতে আবেদন করার সুযোগ পেলেও অনূর্ধ্ব ৩০ বছরের প্রার্থীদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হতে পারে।