
নিজস্ব প্রতিনিধি
৩০ জুন, ২০২২, 1:59 PM

শিক্ষক মুঞ্জির হত্যা মামলা: ২ জনের যাবজ্জীবন
খুলনায় মাত্তমডঙ্গা শ্রীনাথ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুঞ্জির হত্যা মামলায় দুজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ৫০ হাজার জরিমানা অনাদায়ে, আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) দুপুরে খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মাহমুদা খাতুন এ রায় ঘোষণা করেন। এ ছাড়া হত্যাকাণ্ডের বিস্ফোরক মামলায় ওই দুই আসামিকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে, আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন, আশরাফ ও আনোয়ার। দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন, আশরাফ ও আনোয়ার। নিহত শিক্ষক মুঞ্জির মাতমডাঙ্গা এলাকার শ্রীনাথ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন।
তিনি স্থানীয় এজিএম যুব সংঘের সদস্য ছিলেন। মামলার এজার থেকে জানা যায়, ২০০৫ সালের ১২ সেপ্টেম্বর মুঞ্জির মাত্তমডাঙ্গা যুব সংঘের ভেতরে অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। এ সময় রাত সোয়া ৯টার দিকে যুব সংঘের ভেতরে প্রবেশ করে কিছু বুঝে ওঠার আগেই সন্ত্রাসীরা তাকে লক্ষ্য করে একের পর এক বোমা নিক্ষেপ করতে থাকে। এরমধ্যে দু’টি বোমা মুঞ্জিরের হাতে ও পিঠে লাগে। পরে মারাত্মক জখম অবস্থায় যুব সংঘের অন্যান্য সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার পর রাত ১টার দিকে মারা যান তিনি। তবে মারা যাওয়ার আগে তিনি ভাই বেনজীর আহমেদের কাছে সব ঘটনার বিবরণ বলে যান। এদিকে নিহতের ভাই বেনজীর আহমেদ বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে খানজাহান আলী থানায় হত্যা ও বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় দুটি পৃথক মামলা দায়ের করেন। পরে ওই দুই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন, খানজাহান আলী থানার এস আই মো. ফারুকুল ইসলাম। তিনি একই বছরের ১২ ডিসেম্বর বিস্ফোরক ও ২০০৬ সালের ৩০ জুন হত্যা মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী কেএম ইকবাল হোসেন জানান, চরমপন্থি দল পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যরা শিক্ষক মুঞ্জিরের কাছে চাঁদা দাবি করে। দাবিকৃত চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়। তারা তাকে হত্যার করারও হুমকি দেয়।