
আবুল হোসেন বাবলু
২৩ ডিসেম্বর, ২০২১, 10:11 PM

লক্ষিটারীর জনদরদী মানুষ হাদীক হামরা ভোট দিয়া চেয়ারম্যান করমো
রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার লক্ষিটারী ইউনিয়নে জমে উঠেছে নির্বাচনী মাঠ। নির্বাচনের দিন যতোই ঘনিয়ে আসছে ততোই বাড়ছে প্রার্থী ও তাদের কর্মী- সমর্থকদের দৌঁড়ঝাঁপ। নির্বাচনী গণসংযোগ ও উঠান বৈঠকে ব্যস্ত প্রার্থীরা। আর চায়ের দোকান থেকে শুরু করে সর্বোত্রই চলছে নির্বাচনী আলাপ- আলোচনা। ভোটাররাও একজন সৎ, যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দিয়ে লক্ষিটারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে দেখার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। লক্ষিটারী ইউনিয়নে মার্কার চেয়ে প্রাধান্য পাচ্ছে ব্যক্তিত্ব। সেইদিক থেকে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পাচ্ছেন লক্ষিটারী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী।
ভোটারদের মুখে মুখে শুধু তারই নাম। আগামী ২৬ ডিসেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গঙ্গাচড়া উপজেলার তিস্তা নদী বেষ্টিত লক্ষিটারী ইউনিয়নে গেলে বৃদ্ধ ভোটার ছলিম উদ্দিন বলেন, হামরা নদী ভাঙ্গন এলাকার লোক। প্রত্যেক বছর বন্যায় হামার বাড়ি-ঘর তলে যায়। নদী হামার বাড়িঘর, জমিজমা ভাঙ্গি নিয়া যায়। ঘরবাড়ি সউগ হারেয়া নিঃস্ব হয়া পড়ি হামরা। খেয়া না খেয়া দিন কাটে হামার। সেই সময় কাইও হামারগুলার খোঁজ না নিলেও হাদী চেয়ারম্যান হামার খোঁজ-খবর নেয়। হাটু-কোমর পানিত নামিয়া চেয়ারম্যান হামাকগুলাক সাহায্য করে। হামরা সুকে-দুকে সউগ সময় হাদী চেয়ারম্যানোক কাচোত পাই। এইরকম জনদরদী মাইনষকে হামরা সউগ সময় চেয়ারম্যান হিসাবে দেইকপার চাই। এবার নির্বাচোনোত হামরা হাদীকেই ভোট দেমো। মেলা ভোট দিয়া হামরা হাদীকে চেয়ারম্যান হিসাবে জয়ী করমো। ফজিলা খাতুন বলেন, মুই হাদীক ভোট দিম।ওমরা মোর এলাকার ছাওয়া। মোর ৬৫ বছর বয়সে মুই দেকনু হাদীর মতো কোন চেয়ারম্যান হামার গুলার খোঁজ নেয় নাই। সউগ সময় হামার খোঁজ নেছে। একজন স্কুল শিক্ষক মজিবর রহমান তিনি বলেন, হাদী চেয়ারম্যান হওয়ার আগে থেকেই এলাকার মানুষের খোঁজ-খবর নেয়। কেউ কোন বিপদে পড়লে তিনি তার পাশে গিয়ে দাঁড়ান। বিপদগ্রস্থ মানুষকে তিনি সবসময় সাহায্য-সহযোগিতা করেন। তিনি ইউনিয়নবাসীর কাছে একজন জনদরদী ও সমাজসেবী মানুষ। চেয়ারম্যান হওয়ার পর আব্দুল্লাহ আল হাদী এলাকার অনেক উন্নয়ন করেছেন। একজন জনদরদী মানুষ হিসেবে তাকে এবারও লক্ষিটারী ইউনিয়নবাসী বিপুল ভোটে জয়ী করবে।