
নিজস্ব প্রতিবেদক
২০ নভেম্বর, ২০২২, 3:20 PM

রিজার্ভ নিয়ে সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত করা হচ্ছে: নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী
নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘রিজার্ভ নিয়ে অযাচিত কথা বলে দেশের মানুষকে আতঙ্কিত করা হচ্ছে। অথচ আমাদের কাছে তিন মাসের অধিক সময় চলার মতো রিজার্ভ সুরক্ষিত আছে। গ্রামীণ অর্থনীতি এখনো চাঙ্গা আছে। অসংলগ্ন কথা বলে সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত করার অধিকার কারো নেই। আজ রবিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘বাংলাদেশের শিপিং খাত : বাস্তবতা ও করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। গোলটেবিল বৈঠকটি আয়োজন করে দৈনিক ইত্তেফাক। প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘করোনা মহামারির সময়ে সব কিছু থেমে গেলেও, সরকার সক্রিয় ছিল। সরকারের দৃঢ় পদক্ষেপে সে সময় রিজার্ভ বেড়েছে। বর্তমানেও সরকারের আন্তরিকতার ঘাটতি নেই। দেশের অর্থনীতি সচল আছে বলেই নতুন ৫০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল সৃষ্টি হয়েছে। আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে পায়রা বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু হবে। ’ বৈদেশিক বিনিয়োগ বাড়ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন দেশের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা সম্প্রতি আমাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সৌদি আরব, সিঙ্গাপুর, তুরস্কসহ ইউরোপের উন্নত দেশগুলো আমাদের দেশে বিনিয়োগ করেছে। দেশের ব্যবসায়ীরা বিদেশে পণ্য রপ্তানি করছেন। ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হলে সরকার বসে থাকবে না। ’দেশের বন্দরগুলো সচল রাখতে অভ্যন্তরীণ জলপথ কার্যকরের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেন নৌ পরিহন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘সরকার চায় চট্টগ্রাম-মোংলা ও পায়রা বন্দর থেকে পণ্য পরিবহনে জলপথ ব্যবহার হোক। নগরবাড়ী, মুক্তারপুর, খানপুর ও পদ্মা সেতুর নিচে শিমুলিয়ায় পণ্য পরিবহনের লক্ষ্যে কাজ শুরু হয়েছে। পণ্যবাহী জাহাজ প্রবেশের জন্য নদীগুলোতে ড্রেজিং শুরু হয়েছে। শিপিং করপোরেশনের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে নতুন জাহাজ যুক্ত করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘গত ১৪ বছরে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনে ছয়টি নতুন জাহাজ যুক্ত করা হয়েছে। নতুন আরো ২১টি জাহাজ যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। বেসরকারি জাহাজের সংখ্যা ৯০ ছাড়িয়ে গেছে। এতে ব্যবসার নতুন ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। ’দৈনিক ইত্তেফাকের বিশেষ প্রতিনিধি সাইদুল ইসলামের সঞ্চালনায় গোলটেবিল বৈঠকে আরো বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ শাহজাহান, বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কন্টেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি নূরুল কাইয়ুম খান, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. আইনুল ইসলাম, বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ আরিফ, বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল আলী শিমুল। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিকেএমইএ-এর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ, এমসিএল সার্ভিস প্রেসিডেন্ট বরন্ড, সিনিয়র পার্টনার মহিউদ্দিন আব্দুল কাদির, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক সৈয়দ নূরুল ইসলাম, বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরোয়াডার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট কবির আহমেদ, অ্যাডভাইজার শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন ওয়াসিউর রহমান চৌধুরী, ওশান নেটওয়ার্ক এক্সপ্রেস লিমিটেডের সিইও ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফাইয়াজ খন্দকার, ডিপি ওয়ার্ল্ড কান্ট্রি ডিরেক্টর শামিমুল হক, মারেক্স বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আংশুমান মৈত্র মুস্তারি, গ্লোবাল টিভির সিইও এবং এডিটর ইন চিফ সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, একাত্তর টিভির হেড অব বিজনেস নিউজ কাজী আজিজুল ইসলাম, দৈনিক সমকালের বিজনেস এডিটর জাকির হোসেন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বক্তারা শিপিং খাতের চলমান ছয়টি ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেন।