
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৮ মার্চ, ২০২২, 3:42 PM
রাজধানীতে ৩ সেকেন্ডে মোটরসাইকেল চুরির প্রতারক চক্র গ্রেপ্তার
মাত্র ৩ সেকেন্ডে চুরি হয়ে যেতে পারে আপনার মোটরবাইকটি। কিছু বুঝে ওঠার আগেই আপনার সখের বাহনটি চুরি করে নিয়ে যাবে একদল প্রতারক চক্র। রাজধানীতে এমনি সক্রিয় এক চক্র আছে যার গত দু’বছরে প্রায় হাজার খানেক মোটরসাইকেল চুরি করছে। আর চুরি হওয়া বাইক ৩০-৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করেছে প্রত্যন্ত এলাকায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি। একটি মোটরসাইকেল ৩-৪ সেকেন্ডের মধ্যেই চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে প্রতারক চক্রের সদস্য। একইভাবে মতিঝিল ধানমন্ডি ও গুলশানের ডিসিসি মার্কেটের পার্কিং থেকে এভাবেই মিনিট ব্যবধানে বাইক নিয়ে উধাও হয়ে যায় তারা। চুরির পর এসব মোটরবাইক বিভিন্ন গ্রামে ৩০-৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয় এই প্রতারক চক্রের সদস্যরা।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীসহ সারাদেশে অভিযান চালিয়ে এই চক্রের তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কোন কোন মোটরসাইকেল তারা চুরি করে এমন প্রশ্নে প্রতারক চক্রের একজন বলেন, যারা মোটরসাইকেল রেখে হাইড্রোলিক তালা না দিয়ে মার্কেটে ঢুকে যোয় এমন বাইকগুলোই আমাদের প্রধান টার্গেট। সে সকল বাইকে গিয়ে আমি দেখি যে তালার কি অবস্থা। আমার কাছে রাখা চাবি দিয়ে এটা খোলা যাবে কিনা। আমার অভিজ্ঞতা আছে। তাই আমি বুঝতে পারি। যদি দেখি যে এ চাবি দিয়ে খোলা যাবে তখন আমি চাবি দিয়ে টানা দিয়ে গাড়ি নিয়ে মুন্সিগঞ্জ নিয়ে যাই। গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, এরা গত দু’বছরে চুরি করেছে হাজারখানেক মোটরসাইকেল। এ সকল চক্রের সদস্যরা মাষ্টার কি দিয়ে যেকোনো বাইক নিমেশেই আনলক করে ফেলতে পারে জানিয়ে ডিসি, ডিবি (গুলশান), ডিএমপি মশিউর রহমান বলেন, ৪ সেকেন্ড থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২ মিনিটের ভেতর একটা মোটরসাইকেল ভেঙে নিয়ে যেতে পারে। গ্রাম্য পুলিশ, চৌকিদার থেকে শুরু করে বিভিন্ন ব্যবসায়ী আছেন যারা নিয়মিত এদের কাছ থেকে চোরাই মোটরসাইকেলগুলো কিনে থাকেন। ওই লোকগুলো আবার অন্যান্য জেলার মানুষের কাছে এগুলো বিক্রি করে থাকেন। পুলিশ বলছে গ্রাম এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা কম থাকায় লাইসেন্স ছাড়াই অনেকে মোটরবাইক চালাতে পারে। সেই সুযোগে বাইকগুলো কমদামে গ্রামে বিক্রি করে চক্রটি।