
নিজস্ব প্রতিবেদক
২৮ আগস্ট, ২০২২, 10:42 AM

রাজধানীতে বাবাকে দায়ী করে মেয়ের আত্মহত্যা
চিরকুটে লিখা, ‘আমার মৃত্যুর জন্য আমার বাবা দায়ী। একটা ঘরে পশুর সাথে থাকা যায় কিন্তু অমানুষের সাথে না। একজন অত্যাচারী রেপিস্ট যে কাজের মেয়েকেও ছাড়ে নাই। আমি তার করুণ ভাগ্যের সূচনা।’আত্মহত্যার আগে মেয়েটি তার বাবার বিরুদ্ধে এমনই একটা চিরকুট লিখে গেছেন। যেখানে মেয়েটি তার বাবাকে রেপিস্ট হিসেবে অভিযুক্ত করেছেন। ঘটনার পর থেকে মেয়েটির বাবা শাহীন ইসলাম পলাতক। রাজধানীর দক্ষিণখান থানাধীন মোল্লারটেক এলাকায় এমনই এক চিরকুট লিখে ১০ তলা ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী আত্মহত্যা করেন। তিনি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের তৃতীয় সেমিস্টারের ছাত্রী ছিলেন। শনিবার (২৭ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ওই ছাত্রী আত্মহত্যা করেন। পুলিশ জানায়,
শনিবার দুপুরে ওই ছাত্রী ছাদ থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যা করেন। প্রথমে পরিবার বিষয়টি কাউকে না জানিয়ে লুকিয়ে ফেলতে চেয়েছিল। তারা প্রথমে তাকে আহত অবস্থায় উত্তরার বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ নিয়ে যায়। সেখানে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ না রাখায় পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তায় মেয়েটি মারা যায়। পরে তার মা বিকেলে মরদেহ থানায় নিয়ে আসেন। পরে মরদেহের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। ওই ছাত্রী তার মা ও ছোট ভাইসহ দক্ষিণখানের মোল্লারটেক এলাকায় একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন। ফ্ল্যাটটি তার মামা কিনে দিয়েছিল। গত ৫-৬ মাস আগে তিনি জানতে পারেন যে তার বাবা শাহীন ইসলাম ৫ বছর আগে আরও একটি বিয়ে করেছিলেন। এ বিষয়ে তাদের সম্পর্কের অবনতি ঘটলে তার মা বাবাকে ডিভোর্স দেয়। যদিও ডিভোর্স দেয়ার পরও শাহীন ইসলাম তাদের বাসায় যাতায়াত করতেন। ডিভোর্সের পরেও তার বাবা নিয়মিত তাদের টাকা পয়সা দিতেন। সম্প্রতি তার বাবার কাছে সেমিস্টার ফি’র টাকা চেয়েছিলেন, কিন্তু শাহীন ইসলাম তা দিতে পারেননি। পরে মেয়েটি চিরকুট লিখে ছাদ থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যা করেন।