
নিজস্ব প্রতিনিধি
২৯ জুন, ২০২৪, 12:44 PM
রংপুরে ত্রিমুখী পরকীয়া প্রেমের জেরে সাদ্দাম খুন প্রেমিক প্রেমিকা গ্রেফতার
আবুল হোসেন বাবলুঃ শাহের বানুর দুই প্রেমিক সাদ্দাম এবং মঞ্জুরুল, ত্রিমুখী পরকীয়া প্রেমের শেষ পরিণতি মঞ্জুরুলের হাতে সাদ্দামের মৃত্যু। রংপুর মহানগরীর হাজীরহাট থানাধীন রণচন্ডী ধনীপাড়ার একটি ধানক্ষেত থেকে গলা, ঘাড় ও মাথায় জখমসহ রক্তাক্ত সাদ্দাম হোসেন (৩৬) এর মরদেহ পরে থাকার খবর পেয়ে উদ্ধার করে পুলিশ। বুধবার ২৬ জুন রাতে কে বা কাহারা রংপুর মহানগর হাজীরহাট থানাধীন রণচন্ডী ধনীপাড়া গ্রামের মৃত তহির উদ্দিনের ছেলে সাদ্দাম হোসেন কে হত্যা করে ধানক্ষেতে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় হাজীরহাট থানায় অজ্ঞাতনামা আসামী করে মামলার প্রেক্ষিতে ক্লুলেস ওই হত্যার রহস্য ২৪ ঘন্টার মধ্যে উদঘাটন সহ দুই জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে হাজীরহাট থানা পুলিশ।
শুক্রবার ২৮ জুন দুপুরে উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) এর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন, উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন পিপিএম। তিনি আরও বলেন, এই ক্লুলেস হত্যার রহস্য উদঘাটন এবং আসামী গ্রেফতারে গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) শাহ নূর আলম পাটওয়ারী, এসি পরশুরাম জোন আল ইমরান হোসেন, হাজীরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রজব আলীসহ মেট্রোপলিটন পুলিশের একাধিক টিম একটানাভাবে অভিযান চালিয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা মহানগরীর হাজীরহাট থানাধীন রণচন্ডী ধনীপাড়া গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে মঞ্জুরুল ইসলাম এবং একই গ্রামের তমিজ উদ্দিন এর স্ত্রী মোছাঃ শাহের বানু@ শাহনাজ।
২৭ জুন তাদেরকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে আবু মারুফ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, পরকিয়া প্রেমের সম্পর্কের জেরে এ হত্যাকান্ডের ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছে। বুধবার ২৬ জুন দিবাগত রাত ১১টার দিকে মঞ্জুরুল ইসলাম তার প্রেমিকা শাহের বানু @ শাহনাজ এর ঘরে ঢুকে এবং রাত আনুমানিক ২টার দিকে বের হয়ে বাড়ির পাশেই সাদ্দাম হোসেনকে দেখতে পায়। উল্লেখ্য যে, সাদ্দাম হোসেন শাহের বানুর অপর প্রেমিক। এ সময় দুই প্রেমিকের মধ্যে প্রেমিকা শাহের বানুকে নিয়ে কথা কাটাকাটি এবং হাতাহাতি হয়। হাতাহাতির সময় মঞ্জুরুল এর নিকট থাকা দা দিয়ে সাদ্দাম হোসেনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে ফেলে রেখে শাহের বানুকে ফোন দিয়ে জানায় সাদ্দামকে শেষ করে দিয়েছি। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মঞ্জুরুল দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করেছে। তার দেওয়া তথ্য মতে হত্যার কাজে ব্যবহৃত লোহার বাটযুক্ত ধারালো একটি দা উদ্ধার করা হয়েছে। আসামীদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।