ঢাকা ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
যাত্রাবাড়ীতে আবাসিক হোটেল থেকে শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার চার পদ্ধতিতে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা: আলী রীয়াজ একনেকে ৮ হাজার ৩৩৩ কোটি টাকার ১৩ প্রকল্প অনুমোদন ৮ দিন ব্যাহত হতে পারে দেশের স্যাটেলাইট সেবা কঠিন ও অস্বস্তিকর প্রশ্ন করা সাংবাদিকদের অধিকার নয়, দায়িত্ব: প্রেস সচিব নেপালে 'জেন জি' আন্দোলনে নিহতরা রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত মেট্রোরেল স্টেশনে দোকান ভাড়ার বিষয়ে নতুন বার্তা ছয় মাসের মধ্যে সুষ্ঠু নির্বাচন করে দায়িত্ব থেকে মুক্তি চাই নতুন মামলায় আনিসুল-আমুসহ ৮ জন গ্রেফতার পরিবহন পুলের ৪০৬ জন গাড়ি চালকের নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত

যে কারণে পেছাল আবরার হত্যা মামলার রায়

#

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৮ নভেম্বর, ২০২১,  2:02 PM

news image

দীর্ঘ দুই বছরের বিচার প্রক্রিয়া শেষে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায় ঘোষণার তারিখ ছিল আজ রোববার (২৮ নভেম্বর)। তবে এদিন রায় ঘোষণা না করে বিচারক রায়ের নতুন তারিখ নির্ধারণ করেছেন। আবরার হত্যা মামলার রায় পেছাল যে কারণে এদিন দুপুর ১২টার দিকে রায়ের নতুন তারিখ ঘোষণার বিষয়ে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান বলেন, রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের আইনজীবীরা যে যুক্তি উপস্থাপন করেছেন তা বিশ্লেষণ করে রায় প্রস্তুত করা সম্ভব হয়নি। রায় প্রস্তুত করতে আরও সময় লাগবে।

তাই এ মামলার রায় ঘোষণার জন্য ৮ ডিসেম্বর নতুন দিন ধার্য করেন বিচারক। রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারিত থাকায় ঢাকার কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক থাকা ২২ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। তোলা হয় এজলাসেও। এ মামলার তিন আসামি শুরু থেকে এখনো পলাতক রয়েছে। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানার ইনর্চাজ, পুলিশের এসআই নিপেন বিশ্বাস বলেন, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকার কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২২ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে, বুয়েটের শেরেবাংলা হলে পিটিয়ে হত্যা করা হয় শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে। বারবার প্রাণ বাঁচানোর আকুতি জানালেও থামেনি পাষণ্ডরা। ৬ ঘণ্টা নির্যাতনের পর মারা গেলে হলের দোতলা ও নিচতলার মাঝামাঝি সিঁড়িতে ফেলে রাখা হয় আবরারের লাশ। সিসিটিভির ফুটেজে ধরা পড়ে এ দৃশ্য। শনাক্ত করা হয় আসামিদের। ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক আদালতে জানান, মাথা, বুকসহ পুরো শরীরে হাতুড়ি, ক্রিকেট স্ট্যাম্প ও স্কিপিং রোপের নির্মম আঘাতের কারণেই মারা যান আবরার। আলোচিত এ মামলায় আবরারের বাবাসহ ৪৫ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন আদালতে। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন ৮ জন। রাষ্ট্রপক্ষের দাবি- ২৫ আসামির অপরাধ প্রমাণ করতে পেরেছেন তারা। তাই আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করছেন। অপরদিকে আসমিপক্ষের আইনজীবীরা বলেছেন, রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছে। আসামিরা খালাস পাবেন বলে আশা করছেন তারা।

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম