
NL24 News
২০ জুন, ২০২২, 3:56 PM

মৌসুমী ফল তালের শাঁস বিক্রির ধুম
শামশুজ্জোহা বিদ্যুৎ,চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধিঃ মধুর এই জ্যৈষ্ঠ ও আষাঢ় মাসের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে হরেক রকমের সুস্বাদু ফল। ফলের তালিকায় রয়েছে, আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু ছাড়াও অন্যতম আরেকটি ভিন্নধর্মী ফল তালের শাঁস। তাল ফলের নরম অংশটি খুবই সুস্বাদু। প্রচন্ড গরমে তালের এই শাঁসটি শহর ও গ্রামের মানুষের কাছে খুবই প্রিয়। বর্তমানে শহর থেকে শুরু করে গ্রামের বিভিন্ন অলিগলিতে এই মৌসুমী ফল তালের শাঁস বিক্রি বেড়ে গেছে। অনেক মৌসুমী ব্যবসায়ীরা তাল গাছ থেকে অপরিপক্ক তাল ফল পাইকারী কিনে এনে কেটে কেটে বিভিন্ন দামে বিক্রয় করে। তবে নরম অবস্থায় তাল শাঁসের দাম অনেক বেশি। কিন্তু,দিন যতই যেতে থাকে এই তাল শাঁস ততই শক্ত হতে থাকে। তখন শাঁসের দাম কমতে থাকে এবং একসময় তাল পরিপক্ক হয়ে গেলে তখন আর এই শাঁস খাওয়া সম্ভব হয় না। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার প্রতিটি উপজেলার তালগাছগুলোতে কিন্তু কঁচি তালে ভরে গেছে। মধুমাসের এ ফলকে কেউ বলে তালের শাঁস, কেউ বলে তালকুর, কেউ বলে তালের আটি।
গরমের মধ্যে তৈলাক্ত খাবারের চেয়ে তালের শাঁস অনেক উপকারী।এর রয়েছে অনেক গুণাগুণ।তাই জ্যৈষ্ঠ ও আষাঢ় এ মধুমাসে বাজারে নানা ফল ওঠলেও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে তালের শাঁস। গ্রীষ্মের এই দিনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় তালের শাঁস খুবই জনপ্রিয় একটি খাবার। তাই সবার হাতে পোঁছে যায় কঁচি তালের শাঁস। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়,চাঁপাইনবাবগঞ্জ শিবগঞ্জ উপজেলায় তালের শাঁস বর্তমানে এর চাহিদা অনেক বেড়েছে। বিক্রেতা শাঁস কেটে সারতে পারছে না, ক্রেতারা দাঁড়িয়ে রয়েছে শাঁস নিতে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার তাল শাঁস বিক্রেতা আব্দুর রহিম (৩০) বলেন, প্রতি বছরই এ সময়ে তালের শাঁস বিক্রি করে সংসার চালাই। গ্রামাঞ্চলে ঘুরে ঘুরে তাল ক্রয় করে গাছ থেকে পেরে এনে শাঁস বিক্রি করি। তবে গাছ উঠে,বাঁধা ধরে পাড়া সবচেয়ে কষ্টকর। তিনি জানান,জ্যৈষ্ঠ থেকে আষাঢ় মাসের অর্ধেক পর্যন্ত এ দেড় মাস চলবে তালের শাঁস বিক্রির কাজ।প্রতিদিন প্রায় ২০০ থেকে ২৫০শাঁস বিক্রি করা যায়। একটি শাঁস আকার ভেদে ৫ থেকে ৮ টাকা দরে বিক্রি করেন। এতে প্রতিদিন তার ১০০০-১২০০ টাকা আয় হায়।দেলওয়ার হোসেন নামে একজন ক্রেতা জানান, এখন গরমের সময় রসালো এই ফল খুবই উপকারী ও সুস্বাদু।প্রচন্ড গরমে এ ফল শরীরের জন্য অনেক ভালো।