
NL24 News
২৭ নভেম্বর, ২০২৪, 3:56 PM

মুন্সীনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ
কে. হোসাইন: মুন্সীনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গ্রাম: মুন্সীনগর, ইউনিয়ন: চুরাইন, উপজেলা: নবাবগঞ্জ, জেলা: ঢাকায় অবস্থিত। উক্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও তার সহকারীদের অপকর্মের দায় আসলে কার, সেটাই এখন এলাকাবাসীর প্রশ্ন?! নাম না প্রকাশের শর্তে ভুক্তভোগীর ভাষ্য অনুযায়ী জানা যায়, বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকগণ কোন শিক্ষকের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক লিপি নন্দির কাছে অভিযোগ করলেও অধীনস্তদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়ার উল্লেখ যোগ্য প্রমাণ দেখা যায়না! বরংচ যেসকল অভিবাবক অভিযোগ করেন তাদের সন্তানদের উপর নেমে আসে নীরব অত্যাচারের খড়গ এবং ভাল শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার রেজাল্ট খারাপ করে দেয়া হয় অমানবিক পন্থায়। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও স্থানীয় প্রভাবশালীদের সথে প্রধানশিক্ষক লিপি নন্দির সম্পর্ক ভাল থাকার কারণে অনেক শিক্ষার্থীর খারাপ ফলাফল পাল্টে দিতেও পারেন নির্দ্বিধায়! একটি সরকারি প্রাইমারি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের চাকুরী করে আত্মীয় স্বজনের নামে গড়েছেন বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও সম্পদের পাহাড়। অভিভাবকদের মাধ্যমে জানাযায় কারণে অকারণে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের নামে, স্কুলের সরঞ্জাম ও ল্যাপটপ কম্পিউটার কিনতে চাঁদা উঠান শিক্ষার্থীদের অভিভাবকের কাছ থেকে। এমনকি ক্লাস রুমে ঘড়ির ব্যাটারি কিনতেও চাঁদা দিতে হয় শিক্ষার্থীদের! শিক্ষার্থীদের টাকায় কেনা কম্পিউটার, অথচ প্রয়োজনে সেই কম্পিউটারে কোন সুবিধাই শিক্ষার্থীরা পান না! জরুরী অফিসিয়াল কাজের কারণ দেখিয়ে সেই কম্পিউটার নিজ দখলে রেখেছেন সহকারী শিক্ষিকা শাহিনা আক্তার!
সহকারী শিক্ষিকা: শাহিনা আক্তার, উনি হচ্ছেন চরম রুক্ষ আচরণ ও ক্ষমতা প্রদর্শন কারী একজন শিক্ষিকা। যিনি নানা কারণ দেখিয়ে সব থেকে বেশি ছুটিতে থাকেন বলে বাস্তবে প্রমাণ রয়েছে। যদিও স্কুলের হাজিরা খাতায় তার ক্ষমতাবলে প্রমাণ নাও থাকতে পারে! তার কাছে শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনে কিছু জানতে চাইলে অভিভাবকদের সথে চরম দুর ব্যবহার করেন বলে জানা গেছে। যার বিরুদ্ধে অনেক অভিভাবকের অভিযোগ থাকলেও আজ অবদি কোন ব্যবস্থা নেয়নি তার বান্ধবী প্রধান শিক্ষক লিপি নন্দি!! বিষস্থ সূত্রে জানাগেছে, শাহিনার স্বামীও অন্য একটি স্কুলের ক্ষমতাধর ব্যক্তি ও স্কুলের প্রধান শিক্ষক। স্বামীর ক্ষমতায় শাহীনা গত সরকারের আমলে গড়েছেন বিশাল সম্পদের পাহাড়। বাড়ি, গাড়ি, বিস্কুট ফ্যাক্টরি কি নাই তার!? বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের মাস্টারমাইন্ড এই শাহিনা আক্তার! সব থেকে দুঃখের বিষয় হচ্ছে, উনি অংকের শিক্ষক হলেও ঠিকমতো ক্লাশ করেন না। শিক্ষার্থীদের পড়া দিয়ে উনি ক্লাস থেকে বেরিয়ে অফিস রুমে আড্ডা দেন অথবা স্মার্ট ফোনে ব্যস্ত থাকেন! যাতে শিক্ষার্থীদের তারই মনোনীত ব্যক্তির নিকট প্রাইভেট পড়ার সুগম রাস্তা তৈরি হয় এবং কমিশন বাণিজ্যে আইনি বাধা না থেকে। বিগত সরকার আমলে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকগণ উল্লেক্ষিত শিক্ষিকাদের বিরুদ্ধে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের নিকট অভিযোগ করেও, তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতিবাজ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ হতে কোন ধরনের শাস্তিমূলক ব্যাবস্থা নিতে দেখা যায়নি। যে কারণে শিক্ষক হিসেবে তাদের দায় দায়িত্বহীনতা এবং সংঘবদ্ধ অপকর্মের সীমা ছাড়িয়ে গেছে বহুগুণ। এ যেন এক অপ্রতিরোধ্য নীরব সন্ত্রাস। যে কারণে সাধারণ শিক্ষার্থীরা শিক্ষা বিমুখ ও অকালে জীবন ধ্বংশ হচ্ছে এবং শিক্ষা জীবন থেকে ঝরে পড়ছে। এলাকাবাসী মনে করেন, ঊর্ধ্বতন সৎ কর্মকর্তা কর্তৃক সঠিক তদন্ত করলে এই সকল শিক্ষকদের বিরুদ্ধে আরো অনেক অপকর্মের তথ্য পাওয়া যাবে। সাধারণ জনগণ বর্তমান সরকারের কর্ম পন্থা ও সততার দৃষ্টান্ত দেখতে উন্মুখ।