ঢাকা ১৩ জুলাই, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
সোনারগাঁয়ে তিতাস গ্যাসের অভিযানে ৩টি অবৈধ চুন কারখানার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন আশুলিয়ায় অপহরণের পর শিশুকে গলাকেটে হত্যা, ঘাতক যুবক গ্রেফতার বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে পুলিশ ভেরিফিকেশনের নতুন পরিপত্র ‘শাপলা’ প্রতীক না পেলে রাজনৈতিক লড়াইয়ের ঘোষণা এনসিপির হাসিনাসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে গুমের অভিযোগ বিএনপির জরুরি অবস্থা প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছায় নয়, লাগবে মন্ত্রিসভার অনুমোদন বেঁচে যাওয়া টাকা ফেরত দিলো ধর্ম মন্ত্রণালয় নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়ের ধারণা দিলেন সিইসি আগামী বছরের হজের খরচ আরও কমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে: ধর্ম উপদেষ্টা ত্বকের যত্নে মধু ব্যবহার করবেন যেভাবে

মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী হত্যা: গ্রেপ্তার টিটন ৫ দিনের রিমান্ডে

#

নিজস্ব প্রতিবেদক

১২ জুলাই, ২০২৫,  4:49 PM

news image

ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতাল এলাকায় চাঁদ মিয়া ওরফে সোহাগ নামে এক ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার মো. টিটন গাজীর ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। শনিবার (১২ জুলাই) বিকেলে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিব উল্লাহ গিয়াসের আদালত এ আদেশ দেন। এর আগে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. নাসির উদ্দিন আসামিকে আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে আসামির পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। পরে আদালত টিটনের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্চুর করেন। কোতোয়ালী থানার জিন্দাবাহার এলাকা থেকে শুক্রবার রাত ১টার দিকে টিটন গাজীকে (৩৩) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এ নিয়ে এ মামলায় এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকায় যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কয়েকজন নেতাকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। গত ৯ জুলাই বাসা থেকে ডেকে নিয়ে সোহাগকে প্রকাশ্যে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এ হত্যাকাণ্ডের পুরো দৃশ্য ধরা পড়ে সিসিটিভি ফুটেজে। ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকজন ব্যক্তি সোহাগকে প্রথমে নির্মমভাবে মারধর করে, পরে কুপিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়। এরপর দুই যুবক তার নিথর দেহ রাস্তায় টেনে নিয়ে এসে একের পর এক লাথি, ঘুষি ও বুকের ওপর লাফিয়ে বর্বরতা চালায়। পরে তার মাথা ও শরীরের ওপর ছোড়া হয় বড় বড় পাথর। ঘটনার সময় শত শত মানুষ আশপাশে দাঁড়িয়ে থাকলেও কেউ এগিয়ে আসেনি।

এ ঘটনায় নিহতের বোন মঞ্জুয়ারা বেগম বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছেন। মামলায় ১৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, নিহত সোহাগ মিটফোর্ড এলাকায় ভাঙারি ব্যবসার সঙ্গে পুরোনো বৈদ্যুতিক কেবল কেনাবেচার ব্যবসা করতেন। ওই এলাকায় বিদ্যুতের তামার তার ও সাদা তারের ব্যবসার একটা সিন্ডিকেট রয়েছে। এর নিয়ন্ত্রণ ছিল সোহাগের হাতে। তবে, এর নিয়ন্ত্রণ নিতে মরিয়া ছিল মহিন ও টিটু নামে আরও দুজন। তারা বাণিজ্যের ৫০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ চেয়েছিল। তা না হলে নিয়মিত চাঁদা দেওয়ার দাবি জানিয়েছিল তারা। এর জেরেই দ্বন্দ্ব শুরু হয়। 

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম