ঢাকা ২০ জুন, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে ৬ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ ৫ আগস্ট সরকারি ছুটির ঘোষণা আসছে ২৫৩ জনের গুমের অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে কমিশন প্রবাসীরা ফেরার সময় শুল্ক ছাড়াই আনতে পারবেন যে ১৯ পণ্য বাংলাদেশকে দুই প্রকল্পে ৬৪০ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক আসছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘এরিক’ ইসরায়েল-ইরান সংঘাত: জরুরি বৈঠক ডেকেছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ সাবেক প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম গ্রেপ্তার বিএনপির রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা প্রচারে লিফলেট বিতরণ ইসলামপুরে শরীর সুস্থ রাখতে কাঁঠালের উপকারিতা

মাদক কারবারে প্রতিবাদ করায় কলেজ ছাত্রের পা কাটলো মাদক কারবারি

#

০৮ অক্টোবর, ২০২৪,  12:36 PM

news image

ওবায়দুর রহমান লিটনঃ মাদক কারবারে বাধা দেওয়ায় কলেজ শিক্ষার্থী মো. ইমন মিয়ার পায়ের গোড়ালি বিচ্ছিন্ন করার অভিযোগ উঠেছে মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার। সোমবার (৭ অক্টোবর) আশুলিয়া প্রেস ক্লাবের হল রুমে ভুক্তভোগীর পরিবার এই সংবাদ সম্মেলন করেন। অভিযুক্ত হামলাকারী গাজীপুরের শৈলডুবি গ্রামের কাশিমপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মো. ছামাদ মাদবরের ছেলে মো. খাইরুল ইসলাম শান্ত। সে স্থানীয়ভাবে মাদক বিক্রি ও নিয়ন্ত্রণ করে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী ইমন মিয়া বলেন, আমি আশুলিয়ার গাজীরচট স্কুল ও কলেজের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী। গাজীপুরের কাশিমপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের শৈলডুবি এলাকায় থেকে লেখাপড়া করি। এলাকার যুবসমাজ মাদকের ভয়াল থাবায় ধ্বংসের মুখে। তাই বন্ধুরা মিলে মাদক কারবারের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে সচেতনতা গড়ে তোলার কাজ করছি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে শৈলডুবি এলাকার আব্দুল সামাদ মাদবরের ছেলে খাইরুল ইসলাম শান্ত দেখে নেওয়ার হুমকি দেন আমাকে। তিনি বলেন, এর ধারাবাহিকতায় গত ৩০ এপ্রিল আমাকে মোবাইলে ফোন করে বাইরে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে ডেকে আনে নাদিম ও মোস্তফা। তাদের কথামতো মোটরসাইকেল নিয়ে বাসার বাইরে বের হলে সন্ধ্যা ৭টার দিকে কাশিমপুর থানাধীন শৈলডুবির চুল ফ্যাক্টরির উত্তর পাশে অতর্কিত হামলা চালায় আমার উপর। এসময় অভিযুক্তরা কুপিয়ে আমার পায়ের গোড়ালি বিচ্ছিন্ন করে দেয়। ইমনের বাবা বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে কথা বলায় সন্ত্রাসীরা আমার ছেলের পায়ের নিচের অংশ কেটে ফেলেছে। এখন সে কৃত্রিম পা নিয়ে চলাফেরা করে। তার জীবনটা শুরু না হতেই শেষ হয়ে গেল। ঘটনার বিচারের জন্য থানায় যাই। কিন্ত আমি তাদের কথার প্রতিবাদ করলে তারা আমাকে জানে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেয়। অভিযুক্তরা যে কোনো সময় আমার ও আমার পরিবারের লোকজনদের বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে। আমার ছেলের ওপর নির্মম হামলার জন্য দোষীদের আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তির দাবি করছি।

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম