ঢাকা ২১ জুন, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা ঢাকা মেডিকেল কলেজ পাঁচদিন টানা বৃষ্টির আভাস মন্ত্রণালয় ও সংস্থার মধ্যে সমন্বয়ের অভাবে পিছিয়ে পড়ছে দেশ: উপদেষ্টা সাখাওয়াত আ. লীগকে নিষিদ্ধ করিনি, নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কিনা সিদ্ধান্ত ইসির: বিবিসিকে প্রধান উপদেষ্টা ছাগলনাইয়ায় সেফটিক ট্যাংক থেকে দুই শিশুর লাশ উদ্ধার রংপুর জেলার ৬ আসনে হাতপাখা প্রতীকের ৫ প্রার্থীর নাম ঘোষণা নতুনবাজার সড়ক অবরোধ ইউআইইউ শিক্ষার্থীদের মোসাদের ৫৪ গুপ্তচরকে গ্রেপ্তারের দাবি ইরানের হাসনাহেনায় মুগ্ধতা ছড়ালেন পরীমণি ঢাকার বাতাস আজ ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’

ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমিয়ে উন্নয়ন প্রকল্প নিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

#

নিজস্ব প্রতিবেদক

০৪ এপ্রিল, ২০২২,  12:27 PM

news image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমিয়ে যে কোনো উন্নয়ন প্রকল্প নিতে হবে। রোধ করতে হবে পানির অপচয়। সরকারপ্রধান বলেন, ভূগর্ভস্থ পানি যত কম ব্যবহার করা যায় আর ভূউপরিস্থ পানি যত বেশি ব্যবহার করা যায়, সেদিকে লক্ষ্য রেখেই সব পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষ্যে সোমবার (৪ এপ্রিল) বেলা ১১টায় রাজধানীতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি এ অনুষ্ঠানে যুক্ত হন। এ সময় তিনি বলেন, স্বাধীনতার পরপরই যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে গড়ে তোলার পদক্ষেপ নেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেই সঙ্গে বাংলাদেশ যে একটা ব-দ্বীপ, সে কথা মাথায় রেখে তিনি এ দেশে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পানিসম্পদ রক্ষা ও ব্যবহার বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেন। ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু প্রতিষ্ঠা করেছিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং যৌথ নদী কমিশন। শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার পথ অনুসরণ করেই আওয়ামী লীগ ১৯৯৯ সালে জাতীয় পানি নীতি প্রণয়ন করে। দ্বিতীয়বার যখন সরকারে আসি, তখন জাতীয় পানি ব্যবস্থাপনা, পরিকল্পনা প্রণয়ন করি। বাংলাদেশ পানি আইন ২০১৩, বাংলাদেশ পানি বিধিমালা ২০১৮ প্রণয়ন করে, তা বাস্তবায়ন করছি। তাছাড়া জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন পর্যায়ে সমন্বিত পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা গাইডলাইনও জারি করা হয়েছে। তিনি বলেন, এ বছর বিশ্ব পানি দিবসের প্রতিপাদ্য ‘ভূগর্ভস্থ পানি: অদৃশ্য সম্পদ, দৃশ্যমান প্রভাব’। যা ভূগর্ভস্থ পানি সুরক্ষা, টেকসই ব্যবহার, সমন্বিত ব্যবস্থাপনার ওপর গুরুত্বারোপ করছে। আমরা প্রকৃতপক্ষে মিঠা পানির দেশ। তারপরও জাতিসংঘ ঘোষিত এসডিজি-৬ এটা বাস্তবায়নের দিকে আমাদের বিশেষ দৃষ্টি রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে সবার জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থা এবং স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা এসডিজি-৬ এর বড় লক্ষ্য। ইতোমধ্যে স্যানিটেশনে আমরা ৯৭ শতাংশ সফলতা অর্জন করেছি। সুপেয় পানির ব্যবস্থার জন্যও আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ হাতে নিয়েছি। সরকারপ্রধান বলেন, পৃথিবীর অনেক দেশ আছে, যেখানে সুপেয় পানি পাওয়া কষ্টকর। তারা অনেক কষ্ট করছে। কিন্তু আমাদের বিশাল পানিসম্পদ রয়েছে। আমরা যদি আমাদের এই সম্পদ যথাযথ ব্যবহার করতে পারি, তবে আমাদের দেশের মানুষের কষ্ট হবে না। বরং আমরা বিশ্বকে পানি সরবরাহ করতে পারব। সে বিষয়টা মাথায় রেখেই আমাদের কাজ করতে হবে। বঙ্গবন্ধুকন্যা জানান, ভূগর্ভস্থ পানি সীমিত করার বিভিন্ন পদক্ষেপ ইতোমধ্যে আমরা হাতে নিয়েছি। ঢাকা শহরে নদীর পানি পরিশোধন করে সরবরাহ করছি। নদীর পানি পরিশোধন করে জেলা-উপজেলা পর্যায়েও পাইপ দিয়ে পানি সরবরাহের ব্যবস্থা নিয়েছি।  

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম