
নিজস্ব প্রতিনিধি
১৯ জুন, ২০২৫, 11:02 AM

বেহাল সড়কে বাড়ছে ভোগান্তি
চট্টগ্রাম নগরের অন্যতম ব্যস্ত সড়ক বহদ্দার হাট থেকে খতিবের হাট-হাজি চাঁন মিয়া রোড-হাজিরপুল হয়ে অনন্যা আবাসিক। এই সড়ক দিয়ে অন্তত ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন এলাকার মানুষ নিয়মিত যাতায়াত করেন। কিন্তু এই সড়কে লাগেনি উন্নয়নের ছোঁয়া। বৃষ্টি হলেই ছোট-বড় গর্ত আর কাদামাটিতে হারিয়ে যায় রাস্তা। জানা যায়, প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটারের এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জামিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদরাসা, জামিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া মহিলা মাদরাসা, দারুল মা’রিফ মাদরাসা, চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতাল এবং চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা। প্রতিদিন হাসপাতালে যাতায়াত করে হাজারো রোগী। এ ছাড়া এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে চান্দগাঁও ও পাঁচলাইশের কালারপুল, খতিবের হাট, হাদু মাঝিরপাড়া, অদুরপাড়া, বানিয়ারপুল, হাজিরপুল, মাইজপাড়া এলাকার মানুষ। সরেজমিনে দেখা যায়, বহদ্দারহাট থেকে কালারপুল পর্যন্ত সড়কটি দেখলে মনে হবে, এটি যেন সড়ক নয়, কর্দমাক্ত পরিত্যক্ত জায়গা। হাঁটাও দায়। চাঁন মিয়া রোডের কোথাও কাদা মাটি, কোথাও ময়লার স্তূপ, কোথাও খাল থেকে তোলা মাটির স্তূপ। এ পথ দিয়েই চলতে হয় যানবাহন ও পথচারীদের। দেখে মনে হবে এটি গ্রামের কোনো অবহেলিত জনপদ। জামিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদরাসার শিক্ষার্থী হেলাল হাছান বলেন, একটু বৃষ্টি হলেই সড়কটি দিয়ে আর হাঁটা যায় না। বর্তমানে এখানে শহরের পিচঢালা সড়কের কোনো অস্তিত্বই নেই। কখন সংস্কার হয়েছে তার কোনো চিহ্ন নেই। অথচ এই সড়ক দিয়ে দৈনিক অসংখ্য শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দা যাতায়াত করেন। চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মুহাম্মদ মুসলিম উদ্দিন সবুজ বলেন, হাসপাতালে প্রতিদিন অন্তবিভাগ-বহির্বিভাগ মিলে হাজারো রোগী আসেন। অন্তঃসত্ত্বা নারী, শিশু, বৃদ্ধ রোগীদের এ পথ দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রকল্পের কাজ চলমান থাকায় সড়কটির কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। চলমান কাজ শেষ হলেই চাঁন মিয়া সড়ক সংস্কার কাজ শুরু করা হবে। সড়কটির বিষয়ে আমাদের বিশেষ নজর আছে। সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন