ঢাকা ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
সীমানা নিয়ে আদালতের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবে ইসি পিআর তো বিএনপিরই চাওয়ার কথা: মুফতি ফয়জুল করিম কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য সুখবর দক্ষিণখান থেকে নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার চাকসু নির্বাচনে প্যানেল ঘোষণা করল ছাত্রদল চট্টগ্রামে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ৪ শ্রমিক বার্ন ইন্সটিটিউটে নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক আফঈদাকে সাতক্ষীরায় সংবর্ধনা সাবেক ভূমিমন্ত্রীর বাংলাদেশি এজেন্ট আব্দুল আজিজ ও উৎপল গ্রেপ্তার দ্বিতীয় দিনের সাক্ষ্যে শেখ হাসিনাসহ দায়ীদের কঠোর শাস্তি চাইলেন নাহিদ ইসলাম

বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে স্ত্রী হত্যা মামলা চলবে: হাইকোর্ট

#

নিজস্ব প্রতিবেদক

০৯ মে, ২০২৩,  1:50 PM

news image

স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার (৯ মে) বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এই আদেশের ফলে বিচারিক আদালতে বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে স্ত্রী হত্যা মামলা চলতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী মুহাম্মদ শিশির মনির। মিতু হত্যা মামলায় বাবুলসহ সাতজনের বিরুদ্ধে গত ১৩ মার্চ অভিযোগ গঠন করেন আদালত। ৯ এপ্রিল চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালতে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এরমধ্য ‍দিয়ে মিতু হত্যাকাণ্ডের সাত বছর পর বাবুল আক্তারসহ সাত আসামির বিচার শুরু হয়েছে।

বাবুল আক্তার ছাড়া অভিযোগপত্রভুক্ত অপর ছয় আসামি হলেন- মো. কামরুল ইসলাম শিকদার ওরফে মুসা, এহতেশামুল হক ওরফে ভোলা, মো. মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. খাইরুল ইসলাম ওরফে কালু ও শাহজাহান মিয়া। তাদের মধ্যে বাবুল, ওয়াসিম, শাহজাহান ও আনোয়ার কারাগারে আছেন। এহতেশামুল জামিনে, কামরুল শিকদার মুসা ও খাইরুল ইসলাম কালু শুরু থেকে পলাতক। ২০১৬ সালের ৫ জুন চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। এ ঘটনার পরদিন জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা দাবি করে বাবুল আক্তার নিজেই বাদী হয়ে নগরীর পাচলাইশ থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে পিবিআই ২০২১ সালের ১২ মে এ মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়। একই দিন বাবুলের শ্বশুর সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় বাবুলসহ আটজনকে আসামি করা হয়। ওই মামলায় গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর বাবুল আক্তারসহ সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।  অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০১৩ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থাকাকালে বাবুলের সঙ্গে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নারী কর্মকর্তার সম্পর্ক হয়। এই সম্পর্কের জেরে বাবুলের পরিকল্পনায় মাহমুদাকে খুন করা হয়। এ জন্য তিনি সোর্সের মাধ্যমে তিন লাখ টাকায় খুনি ভাড়া করেন।

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম