
আরিফুর রহমান
২১ মে, ২০২২, 4:10 PM

বরিশাল মহানগর বিএনপির বঞ্চিতদের ঈদ পূনর্মিলনী
বরিশালে ঈদ পূনর্মিলনী করেছেন মহানগর বিএনপির একাংশের (কমিটি বঞ্চিত) নেতৃবৃন্দ। শুক্রবার (২০ মে) রাতে নগরীর কমিউনিটি সেন্টার ‘পার্টি হাইজ’ এ এই ঈদ পূনর্মিলনীর আয়োজন করা হয়। বর্তমান কমিটির বিরুদ্ধে অবস্থান জানান দিতেই এ আয়োজন বলে মনে করছেন তৃনমুলের কর্মীরা। শুক্রবার রাতে নৈশভোজকে কেন্দ্র করে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, মহানগর বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি অ্যাড: মহসিন মন্টু ও সৈয়দ আহসানুল কবির হাসান এবং সাবেক সহ সম্পাদক আনোয়ারুল হক তারিনসহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দ। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা এ্যাড. শহিদ, আব্বাস উদ্দিন বাবলা, সাবেক কাউন্সিলর সৈয়দ নোমান, রফিকুল ইসলাম শাহিন,
য্বুদল নেতা আলাউদ্দিন, শ্রমিক দল নেতা রফিক আকন, মহিলা দল নেত্রী তাছলিমা কালাম পলি প্রমূখ এসময় বক্তারা বরিশাল নগর বিএনপির নতুন নেতৃত্বকে ল্যাংড়া-লুলা আখ্যায়িত করে বলেন, আহবায়ক কমিটির শৃংখলা ভেঙ্গে পড়ায় ইফতারের নামে চাঁদাবাজীর রেকর্ড করেছে। আগামী দিনে দলের আন্দোলন সংগ্রামের সব কর্মসুচী আলাদাভাবে করারও ঘোষনা দিয়েছেন তারা। নতুন কমিটিকে অকার্যকর দাবী করে এর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার জন্য নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান তারা। সভায় মহানগর বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি সৈয়দ আহসানুল কবির হাসান সরকারকে হুশিয়ারী দিয়ে বলেন, জোর করে ক্ষমতা আটকে রাখা যাবে না। সাবেক যুগ্ন সস্পাদক সৈয়দ আকবর বলেন, বিএনপির বিগত দু:সময়ে যখন দুই জনে এক সঙ্গে হাটা যায়নি তখনও এই দলকে আকড়ে রেখেছি। যারা ১৫ বছর ধরে দলের খবর রাখেনি এখন তাদের নেতৃত্ব আনা হয়েছে। এরা ইফতারির নামে চাঁদাবাজী করে রেকর্ড করেছে। বরং সভা সমাবেশে এখন আর কর্মীই হয় না। সাবেক সহ সম্পাদক আনোয়ারুল হক তারিন বলেন, নতুন কমিটির কেউ কেউ নাকি বলে আমরা বিএনপির কেউ নয়। আরে আমরা বরিশালে বিএনপির জন্ম দিয়েছি। আমরা কারো ফলোয়ার না, তারেক রহমানের ফলোয়ার। সাবেক সহ সভাপতি অ্যাড: মহসিন মন্টু বলেন, আগামী নির্বাচনে আন্দোলন সংগ্রামে এই সরকারকে মোকাবেলা করতে বর্তমান কমিটির নেতৃত্ব দিয়ে চলবে না। ল্যাংরা, লুলা কমিটির দিকে আমরা আর তাকিয়ে থাকবো না। নিশি রাতের ভোট ঠেকাতে রাজপথে থাকতে হবে। তাদের এই বক্তব্যের ব্যাপারে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মীর জাহিদুল কবির বলেন, বরিশালবাসী দেখেছেন কমিটি ল্যাংরা-লুলা কিনা। দলের প্রতি কমিটমেন্ট থাকলে তারা এধরনের কথা বলতে পারতো না। বরং তারাই দলের কর্মসুচীতে থাকেন না। তিনি বলেন, ইফতারিকে কেন্দ্র করে চাঁদাবাজীর কোন ঘটনা কেউ প্রমান করতে পারবে না। বরং বড় ইফতার মাহফিলের সফল আয়োজন দেখে ইর্শান্বীত হয়ে একটি মহল এধরনের অপপ্রচার ছড়াচ্ছে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান বিবেচনা করেই বর্তমান কমিটি দিয়েছেন। তারই (তারেক রহমান) নেতৃত্বে বরিশাল মহানগর বিএনপি ঐক্যবদ্ধ রয়েছে বলে দাবী করেন এই নেতা। অন্যদিকে মহানগর বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক জিয়া উদ্দিন সিকদার বলেন, চেয়ারম্যান নতুন নেতৃত্বের কাজের তদারকি করছেন। চেয়ারম্যানের দেয়া কমিটিকে এমনভাবে কটাখ্য করা সমীচিন নয়। তিনি বলেন, আন্দোলন সংগ্রামে তারা যদি তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হন তবে তাদের স্বাগত জানাই। আর চাঁদাবাজীর সঙ্গে তিনি পরিচিত নন। দীর্ঘ বছর নগর বিএনপির সম্পাদক থাকাকালীন এধরনের চাঁদাবাজীর অভিযোগ আসেনি। যারা এধরনের অভিযোগ করেছেন তাদের কাছে প্রমান থাকলে হাই কমান্ডের কাছে তুলে ধরা জন্য বলেন তিনি।