ঢাকা ২২ জুন, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
হজে ৩৮ বাংলাদেশির মৃত্যু, দেশে ফিরেছেন প্রায় ৪৩ হাজার হাজি ১৮ দিনে এলো ২২ হাজার কোটি টাকার বেশি রেমিট্যান্স শামীম ওসমানের দুই প্লট জব্দ, ২৯ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ অবশেষে শক্তিশালী সেই ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালাল ইরান উপদেষ্টা পরিষদে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন কালো টাকা সাদা করা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত গাজীপুর মহানগর প্রেসক্লাবের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত সাবেক ৩ সিইসির বিরুদ্ধে বিএনপির মামলা বাস-অটোরিকশার সংঘর্ষে প্রাণ গেল ৩ জনের মার্কিন হামলার পর দফায় দফায় ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করছে ইরান

বরিশাল-কুমিল্লা থেকে বেশি ডেঙ্গু রোগী আসছে রাজধানীতে

#

নিজস্ব প্রতিবেদক

২২ জুন, ২০২৫,  11:07 AM

news image

বছর ঘুরে আবারও আতঙ্কের নাম মশাবাহিত ভাইরাসজনিত রোগ ডেঙ্গু। দেশজুড়ে প্রতিদিন বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। বিশেষ করে বরিশাল ও কুমিল্লা অঞ্চল থেকে বেশি রোগী আসছে রাজধানীতে। চলতি বছরে সাড়ে পাঁচ হাজারেরও বেশি মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এরমধ্যে মারা গেছেন ২৮ জন। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন বলছে- সচেতনতাবৃদ্ধিসহ পরিচ্ছন্নতায় কোনও ঘাটতি নেই।  হাসপাতালে পাশাপাশি বিছানায় বাবা- ছেলে। দু’জনকে কাবু করেছে যে রোগ সেটি ডেঙ্গু। রাজধানীর মুগদা হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তাদের। একই হাসপাতালে একটু এগুতেই দেখা মিলল এক দম্পতির। তারাও দু’জনই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত। কে কার পাশে থাকবেন কুমিল্লা থেকে আসা এই পরিবারগুলোর সামনে বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে। ডেঙ্গু আতঙ্ক একটি দীর্ঘ সময় ঢাকাবাসীর নিত্য দুশ্চিন্তার নাম ছিল। সেই দুশ্চিন্তা এখন পৌঁছেছে ঢাকার বাইরে বিভিন্ন বিভাগীয় ও জেলা শহরেও। বিশেষ করে এ বছর কুমিল্লা এবং বরিশাল বিভাগের রোগীর সংখ্যাই বেশি। তাদের অনেকেই আসছেন ঢাকায় চিকিৎসা নিতে। এ অবস্থায় ঢাকার হাসপাতালের প্রস্তুতি কেমন? এ প্রশ্নের উত্তরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও মুগদা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, যেকোনও অবস্থায় রোগী চাপ সামাল দিতে প্রস্তত তারা। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল আসাদুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, ডেঙ্গুর জন্য আমাদের মূলত প্রয়োজন হয় ফ্লুইড, আমাদের পর্যান্ত ফ্লুইড আছে। আমরা যে কোনও সংখ্যক রোগীকে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা দিতে সক্ষম।  মুগদা জেনারেল হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. নুরুল ইসলাম বলেন, আমাদের অনেক বেড খালি আছে, কোনও সমস্যা নেই। ওষুধপত্র, স্যালাইন সবকিছু পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে।  আর ঢাকায় মশার বিস্তার নিয়ন্ত্রণে দুই সিটি জানালো গৎবাধা কথা। এমন কথা আগে বলেছেন কর্তাব্যক্তিরা- কিন্তু খুব একটা দৃশ্যমান পরিবর্তন হয়নি। এবারে কতটুকু হবে তা দেখার অপেক্ষায় নগরবাসী। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক শাহজাহান মিয়া বলেন, মশার ওষুধ বিতরণের পাশাপাশি আরেকটি বড় কাজ হচ্ছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা। ইতোমধ্যে আমরা পরিষ্কার করেছি। তারপরও যে সমস্ত জায়গাগুলো বাকি আছে খুব দ্রুত সময়েই সেগুলো পরিষ্কার করে ফেলব।  ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ডেঙ্গুর প্রকোপ এখনও এমন পর্যায়ে যায়নি যে সাধারণ জনগণের মধ্যে ভয় বা আতঙ্ক তৈরি হবে। তবে কর্তৃপক্ষ সতর্ক রয়েছে। ডেঙ্গুর চিকিৎসা সংক্রান্ত একটি নির্দিষ্ট প্রটোকল তৈরি করে তা সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল ও চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে সরবরাহ করা হয়েছে। আগে দিনে দু’বার মশানিধন ওষুধ ছিটানো হতো, এখন সন্ধ্যার পর আরেকবার অতিরিক্ত ওষুধ ছিটানো হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য বলছে, দেশে মার্চ মাস থেকে ডেঙ্গু বাড়তে থাকে। ওই মাসে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৩৩৬ জন। পরের মাসে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৭০১। মে মাসে আক্রান্তের সংখ্যা হয় ১ হাজার ৭৭৩। জুন মাসে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৬৪৩। চলতি মাসেই একদিনে মারা গিয়েছে ৫ জন। তারা সবাই বরিশাল বিভাগের।

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম