
নিজস্ব প্রতিবেদক
১৯ জুন, ২০২২, 2:02 PM

বন্যার প্রধান কারণ জানালেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, সুনামগঞ্জসহ সিলেটের বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হওয়ার প্রধান কারণ বৃষ্টির পানির পাশাপাশি উজানের ঢল। বন্যা নিয়ে কোনো সংস্থা সঠিক পূর্বাভাস দিতে পারেনি। তাই বন্যা পরিস্থিতি কোন পর্যায়ে যাবে, তা বলা যায় না। তবে প্রস্তুতি যতটা নেয়া যায়, নেয়া হচ্ছে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি। রোববার (১৯ জুন) ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ কথা বলেন তিনি। এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সুনামগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার কয়েকটি রাস্তা কাটা হয়েছে। এর ফলে পানি সহজে নেমে যাচ্ছে। আরও কোথাও রাস্তা কাটার প্রয়োজন হলে কাটা হবে। পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুত রয়েছে বলে উল্লেখ করেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী। তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে বন্যা মোকাবিলায় একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা আগামী ৩০ তারিখ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবে। এর পরে প্রয়োজনে সময় আরও বাড়ানো হবে। তিনি বলেন, নিম্ন অঞ্চলগুলো দ্রত প্লাবিত হয়। আমরা এখন সবকাজ করে ফেলতে পেরেছি, এ কথাটি সঠিক নয়। কিছু কিছু পরিমাণ জায়গা উদ্ধার করা হয়েছে। কিছু কিছু খাল খনন করা হয়েছে এবং তা এখনও চলছে। সেই সঙ্গে উদ্ধারের কাজ চলছে। এর মানে এ নয় যে আমরা সন্তুষ্ট বা আমাদের কাজ শেষ হয়ে গেছে। যে সমস্ত নতুন সিটি কর্পোরেশনে আওতাভুক্ত এলাকা রয়েছে, যার বেশির ভাগই নিম্নাঞ্চল, সেখানে অবকাঠোমোগত সমস্যা রয়েছে সেগুলোর উন্নয়নে ইতোমধ্যের প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা বেশি অর্থায়নের একটি প্রকল্প পাশ করা হয়েছে। এটির কাজও চলমান রয়েছে। প্রকল্পের কাজ শেষ হলে আশা করি সেখানের অবস্থান উন্নয়ন হবে। বন্যা হবে তবে কতটুকু হবে, সে পূর্বাভাস আমাদের কোনো সংস্থা দেয় নি উল্লেখ করে তিনি বলেন ১৯৯৮ সালে আমরা মোকাবেলা করেছি। এর পূর্বে বহুবার মোকাবেলা করেছি। ৯৮ সালে তো সারা বাংলাদেশ প্লাবিত হয়ে গিয়েছিল। অনেকে বলেছিল ২ কোটি মানুষ মারা যাবে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী দৃঢ়তার সহীত নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। সেসময় সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী গোটা জাতির দায়িত্ব নিয়েছেন, এবং যে দায়িত্ব পালনের জন্য যা যা যেখানে যেখানে করা দরকার তা করা হচ্ছে। বন্যার পরিস্থিতি অবনতির বিষয়ে তিনি বলেন, যে কোনো পরিস্থিতির জন্যই আমরা আশঙ্কা করতে পারি। কিন্তু খারাপ কিছুর জন্য আমাদের প্রস্তুতি থাকতে হবে। আমাদের অপ্রস্তুত থাকা উচিত না। আমরা যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত রয়েছি। ঢাকা শহরে ডেঙ্গুর উপদ্রবের বিপরীতে সরকারের প্রস্তুতি নিয়ে মন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গুর বিষয়ে আমরা সাধারণত মার্চ ও এপ্রিল থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করি। এবারও সে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। উভয় মেয়র এ নিয়ে প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন।