
NL24 News
০২ জানুয়ারি, ২০২২, 2:34 PM

পারিবারিক কলহের জেরে গৃহবধূ রুনাকে হত্যা করা হয়: সিআইডি
গৃহবধূ রুনা আক্তারকে (২৮) হত্যার পর চোখ উপড়ে ফেলা হয়। পারিবারিক কলহের জেরে তাকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। রোববার (২ জানুয়ারি) সকালে মালিবাগের সিআইডি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তাধর এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন,
তদন্তের অংশ হিসেবে শনিবার (১ জানুয়ারি) মো. খোরশেদ মিয়াকে নেত্রকোনার কলমাকান্দা এবং আব্দুর রাজ্জাক খানকে নরসিংদীর রায়পুরা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে এ ঘটনায় রুনার বাবা মোসলেহ উদ্দিন রায়পুরা থানার মামলা করেন। মুক্তাধর বলেন, গত ১৩ ডিসেম্বর নরসিংদীর রায়পুরার চর মরজালের একটি ধানক্ষেত থেকে রুনা আক্তারের চোখ উপড়ানো লাশ উদ্ধার করা হয়। রুনা আক্তার সৌদি প্রবাসী আবুল কালাম মিয়ার স্ত্রী এবং একই গ্রামের উত্তর পাড়া এলাকার মোসলেহ উদ্দিন ভূঁইয়ার মেয়ে। তিনি বলেন, রুনা আক্তার ও কালাম মিয়ার সংসারে ৩ সন্তান রয়েছে। ১২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় রুনা বাবার বাড়ি থেকে মামার বাড়ি যাওয়ার কথা বলে বের হয়। এরপর থেকে আর তার কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরিবারের সদস্যরা তার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। ঘটনাটি দেশজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে এবং বিভিন্ন প্রিন্ট, অনলাইন ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া গুরুত্বের সাথে প্রচারিত হলে সিআইডি ঘটনাটির ছায়া তদন্ত শুরু করে। পরে পরিবার, ঘটনাস্থল ও আশপাশ এলাকার বিভিন্ন উৎস থেকে সরেজমিন তথ্য সংগ্রহ করা হয়। সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি আরও বলেন, মূলত পারিবারিক কারণে এ ঘটনা ঘটেছে, যা গ্রেপ্তারকৃত দুজন স্বীকার করেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরও কয়েকজনকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।