ঢাকা ১৯ জুন, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
জাতীয় ট্যালেন্ট হান্ট ক্রিকেটে সাপাহারের ২ শিক্ষার্থী স্বর্ণের দামে বড় পতনের পূর্বাভাস আগামীকাল সচিবালয়ে বিক্ষোভের ঘোষণা ১১ মাসে রাজস্ব আদায় ৩ লাখ ২৭ হাজার কোটি টাকা: এনবিআর দেশে ফিরেছেন ২৯ হাজার ৭৩ হাজি ঈদযাত্রার ১২ দিনে সড়কে ঝরল ৩১২ প্রাণ নির্বাচন নিয়ে সরকারের প্রতিশ্রুতি দ্রুত বাস্তবায়ন চান রিজভী জনসংযোগ-নিরাপত্তার মিশ্রণে দায়িত্ব পালনে এসএসএফের সদস্যদের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান সন্ধ্যায় হাসপাতালে যাবেন খালেদা জিয়া বন্দর নবীগঞ্জে পাষণ্ড স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন

পাবনায় ঘরের মেঝে খুঁড়ে কলেজছাত্রের ১০ টুকরা লাশ উদ্ধার

#

নিজস্ব প্রতিনিধি

১৪ ডিসেম্বর, ২০২১,  11:32 AM

news image

অপহরণের তিন দিন পর একই এলাকার এক ব্যক্তির ঘরের মেঝে খুঁড়ে পাওয়া গেল কলেজছাত্রের ১০ টুকরা মৃতদেহ। কলেজছাত্র নাইমুল ইসলাম হৃদয়ের (২৫) মৃতদেহ পাওয়া যায় চাঁদ আলী নামের এক ব্যক্তির ঘর থেকে। ওই ঘরে ভাড়া থাকতেন হোসেন আলী নামে এক ব্যক্তি। তাঁকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার রাত ৯টায় রূপপুর পুলিশ ফাঁড়ির কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) আতিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নাইমুল ইসলাম হৃদয় পাবনা এডওয়ার্ড কলেজের শিক্ষার্থী এবং ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের নতুন রূপপুর এলাকায় তাঁর বাড়ি।

বাবার নাম মজনু মোল্লা। তাদের ওই এলাকায় বিকাশের দোকান রয়েছে। এসআই আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘পাবনা জেলা পুলিশের তথ্যপ্রযুক্তি ও মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে আমরা নিশ্চিত হই জড়িতরা কোথায় আছে। এরপর রাত ৯টার দিকে ঈশ্বরদী উপজেলার নওদাপাড়া গ্রামে জনৈক চাঁদ আলী নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে অপহৃত ছাত্রের লাশের সন্ধান পেয়েছি। হোসেন আলীকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তাঁর ঘরের মেঝে খুঁড়ে ছাত্র হৃদয়ের লাশটি পুঁতে রাখা হয়েছে। মাটি খুঁড়ে লাশটি উদ্ধারের চেষ্টা করছে পুলিশ।’ গত ১০ ডিসেম্বর ঈশ্বরদীর রূপপুর মোড় থেকে অপহরণের পর নাইমুল ইসলাম হৃদয়ের পরিবারের কাছে মুক্তিপণ হিসেবে ৪০ লাখ টাকা দাবি করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়। তদন্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসআই আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘১০ ডিসেম্বর এই অপহরণের ঘটনার পর থেকে সোমবার দুপুর পর্যন্ত ওই শিক্ষার্থীর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। তবে এরই মধ্যে অপহরণকারী চক্রটির মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাঁদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে রাতে লাশের সন্ধান পাওয়া গেছে।’ হৃদয়ের ভাই জীবন হোসেন বলেন, ‘শুক্রবার সকালে বন্ধুর বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় হৃদয়। কিন্তু দুপুরেও বাড়িতে না ফেরায় তার মোবাইলে কল দিলে নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। পরে অন্য আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে খোঁজ নিয়েও সন্ধান মেলেনি। সর্বশেষ ওই দিন দুপুরে হৃদয়ের ফোন নম্বর থেকে আত্মীয়স্বজনদের কাছে ফোন করে মুক্তিপণ হিসেবে ৪০ লাখ টাকা দাবি করা হয়।’ এ ব্যাপারে ঈশ্বরদী থানার ওসি আসাদুজ্জামান বলেন, ‘হৃদয়কে হত্যা করে মৃতদেহ ১০ টুকরা করা হয়। এরপর ঘরের মেঝেতে পুঁতে রাখা হয়েছিল। আমরা এই মুহূর্তে বিস্তারিত কিছু বলতে পারছি না কারা কী কারণে অপহরণ করেছিল। তবে হোসেন আলী নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

’সূত্র : মানবজমিন 

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম