ঢাকা ০৩ আগস্ট, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
সুনামগঞ্জে অর্ধ-বার্ষিক বিচার বিভাগীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত বারহাট্টায় গোপনাঙ্গ কেটে বানানো হচ্ছে হিজড়া, চলছে মাসিক চাঁদাবাজি যেমন থাকবে আগামী ৫ দিনের আবহাওয়া কক্সবাজারে অটোরিকশাকে ট্রেনের ধাক্কা, নিহত ৪ নতুন বাংলাদেশের ইশতেহার ঘোষণা আগামীকাল: এনসিপি বর্ষায় শাকপাতা খান নিয়ম মেনে খিলগাঁওয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পিটুনিতে একজনের মৃত্যুর অভিযোগ সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেট ঝুঁকিপূর্ণ ছিল, ফায়ার সার্ভিসও সতর্ক করেছিল দেশের স্বার্থ বিসর্জনের কোনো সুযোগ নেই: বাণিজ্য উপদেষ্টা জুলাই ঘোষণাপত্র জাতির সামনে উপস্থাপন ৫ আগস্ট

পাটগ্রাম সীমান্তের অভ্যন্তরে ভারতীয় ড্রোনের অনুপ্রবেশ, সীমান্তে উত্তেজনা

#

নিজস্ব প্রতিনিধি

০২ আগস্ট, ২০২৫,  11:42 AM

news image

লালমনিরহাটের পাটগ্রামে ভারতীয় ড্রোনের অনুপ্রবেশ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। উপজেলার ধবলসুতী ৮২৯ নম্বর মেইন পিলার দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারত সীমান্তের ফুলকা ডাবরি এলাকা থেকে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী (বিএসএফ) কর্তৃক এই ড্রোন পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) আনুমানিক বিকেলে একটি ড্রোন বাংলাদেশের ভেতরে প্রবেশ করতে দেখে সীমান্তের লোকজন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ড্রোনটি পরমুহূর্তে চলে যায়। এভাবে প্রায় আসে আবার যায়। এর আগে বিজিবির টহলরত দল সরাসরি ড্রোন দিয়ে মহড়া চালাতে দেখলেও কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেয়নি। এমনকি ড্রোনটি বাংলাদেশের ভেতরে প্রবেশ করে তথ্য সংগ্রহ করে চলে যাওয়ার পরও বিজিবি নীরব ভূমিকা পালন করেছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।  এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা শামীম আল মারুফ ক্ষোভ প্রকাশ করে ফেসবুকে লিখেন, ভারতীয় ক্যাম্প ফুলকা ডাবরি এর অধীনস্ত বিএসএফ কর্তৃক ড্রোন ক্যামেরা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভিডিও ধারণ করে নিয়ে যায়। ৮২৯ মেইন পিলার হতে বাংলাদেশের ভিতরে প্রবেশ করে ড্রোন। আজ প্রথম নয়, এখন পর্যন্ত ১০ দিন ড্রোন আসে। দুর্ভাগ্যক্রমে এটার কোনো প্রমাণ দিতে পারে না স্থানীয়রা। যার ফলে এটার কোনো প্রতিবাদ করেনি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। স্থানীয় জনগণের দাবি, এভাবে ড্রোন আসা বন্ধ করা জরুরি। অনতিবিলম্বে এই সমস্যার সমাধান কামনা করেন স্থানীয়রা। আমি জানি না, আমার বার্তা কতটুকু পৌঁছাবে, তবে এতটুকুই বলবো, আমাদের দেশের উপর ভারতীয় ড্রোন ক্যামেরা আর যেন প্রবেশ না করে, তার জন্য বিজিবি দপ্তরে অনুরোধ রাখলাম।  সীমান্তে বসবাসকারী স্থানীয় এক যুবক বলেন, আমরা প্রতিদিন বৈদ্যুতিক খুঁটির আলো আর ড্রোনের ভয়ে থাকি। সরকার যদি এখনই ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে আমরা নিজেরাই প্রতিবাদ নামবো। এলাকাবাসী আরও জানান, সীমান্তের জিরো লাইনে ইলেকট্রিক তার দিয়ে সীমানা থেকে মাত্র ৫০ গজের মধ্যে ভারত বৈদ্যুতিক ল্যাম্প পোস্ট স্থাপন করেছে। এসব ল্যাম্পপোস্ট থেকে তীব্র আলো বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ এলাকায় পড়ে, যা রাতের বেলা স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবনযাত্রা ব্যাহত করার পাশাপাশি ফসলেরও ক্ষতি করছে। এই আলোকসজ্জা বিএসএফ’র জন্য সুবিধাজনক হলেও বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার জন্য চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করছে।   এবিষয়ে পাটগ্রাম ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য তবিবর রহমান জানান, ড্রোন আসার বিষয়টি বিজিবি আগে থেকে অবগত ছিল। এর আগের ক্যাম্প কমান্ডারের কাছ থেকে জেনেছিলাম যে ভারত ড্রোন পাঠিয়েছিল।  পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাশ জানান, আমাদের বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতীয় ড্রোন যে ওড়ানো হচ্ছে সে বিষয়ে অবগত হয়েছি। আমি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি।  এ বিষয়ে ৬১ বিজিবির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, বিষয়টি আমাদের পর্যবেক্ষণে রয়েছে।

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম