
নিজস্ব প্রতিবেদক
২০ নভেম্বর, ২০২২, 12:34 PM

নির্দিষ্ট অঞ্চল নয়, সারা দেশেই শিল্পায়নের উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বৈশ্বিক সংকটের মধ্যেও দেশের অর্থনীতি এখন পর্যন্ত ভালো অবস্থানে রয়েছে। নিজেদের প্রতিষ্ঠান চালু রেখে, দেশের মানুষের চাহিদা মেটানোর জন্য শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীদের উদ্যোগ নিতে হবে। এমন কিছু করবেন না যাতে সাধারণ মানুষ কষ্ট পায়। রোববার (২০ নভেম্বর) সকালে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি কর্ণফুলী ড্রাইডক স্পেশাল ইকোনমিক জোনসহ ৫০টি শিল্প ও অবকাঠামো উদ্বোধন এবং ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, নির্দিষ্ট অঞ্চল নয়, সারা দেশেই শিল্পায়নের উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। যার ফলশ্রুতিতে আজ কর্ণফুলী ড্রাইডক স্পেশাল ইকোনমিক জোনসহ ৫০টি শিল্প ও অবকাঠামোর উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হলো। অনুষ্ঠানে যুব সমাজকে শিল্প উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, নিজের দেশের সম্পদ কাজে লাগিয়ে নিজেই উদ্যোক্তা হয়ে উঠুন। তার জন্য সব ধরনরে সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হবে। নিজেকে সেভাবে গড়তে হবে, যেন অন্য দেশের মানুষ আপনার কাছে কাজের জন্য আসে। শুরুতে বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুনের স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের কার্যক্রমের ওপর ভিডিও প্রদর্শন করা হয়। এরপর চট্টগ্রাম-১ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন ও পরে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বক্তব্য দেন। কর্ণফুলী ড্রাইডক স্পেশাল ইকোনমিক জোন নদীর দক্ষিণে বাদলপুরা ও শাহ মীরপুর মৌজায় অবস্থিত। বেজার কাছ থেকে বরাদ্দ পাওয়া জমিতে এটি প্রতিষ্ঠা করে দেশের অন্যতম বৃহৎ প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স। ড্রাইডকের নির্মাণ ব্যয় হিসেবে বিশ্বব্যাংক ৮০০ কোটি টাকা সহজ শর্তে ঋণ দিয়েছে। এই ড্রাইডকটি লম্বায় ২৮৫ মিটার এবং প্রস্থে ৫৬ মিটার। ডকে এক লাখ টন ওজনের জাহাজ নির্মাণ ও মেরামত করা সম্ভব। ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে আরও একটি ড্রাইডকের নির্মাণকাজও চলছে। কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ে আনোয়ারায় ‘কর্ণফুলী ড্রাইডক স্পেশাল ইকোনমিক জোন’-এর অধীন দুটি জেটির নির্মাণকাজ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। জেটিতে আমদানি পণ্যবাহী জাহাজ ভিড়তে শুরু করেছে এবং নিয়মিত চলছে লোড-আনলোড কার্যক্রম, যা চট্টগ্রাম বন্দরের পণ্যবাহী জাহাজের জট কমানো তথা উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। বিশেষ করে বহির্নোঙরে জাহাজের অপেক্ষার সময় হ্রাস পাওয়ায় বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হচ্ছে। এ জেটিতে ১৭০ মিটার লম্বা দুটি জাহাজ একসঙ্গে ভিড়তে এবং ১০ থেকে ১২টি জাহাজ একসঙ্গে পণ্য খালাস ও কম করে হলেও দৈনিক ছয় হাজার টন ও মাসে ১ লাখ ৮০ হাজার টন পণ্য খালাস করতে পারে। এই ইকোনমিক জোনের আওতায় আরও দুটি জেটি ও কনটেইনার টামিনাল নির্মাণের জন্য ২০ দশমিক ৯৮ একর জমি বেজার মাধমে লিজ নেয়াসহ কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্সের নিজস্ব জমিতেও আরও দুটি জেটি নির্মাণ করা হবে।