ঢাকা ১৯ জুন, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
৫ আগস্ট সরকারি ছুটির ঘোষণা আসছে ২৫৩ জনের গুমের অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে কমিশন প্রবাসীরা ফেরার সময় শুল্ক ছাড়াই আনতে পারবেন যে ১৯ পণ্য বাংলাদেশকে দুই প্রকল্পে ৬৪০ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক আসছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘এরিক’ ইসরায়েল-ইরান সংঘাত: জরুরি বৈঠক ডেকেছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ সাবেক প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম গ্রেপ্তার বিএনপির রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা প্রচারে লিফলেট বিতরণ ইসলামপুরে শরীর সুস্থ রাখতে কাঁঠালের উপকারিতা গাজায় ইসরাইলি হামলায় একদিনে ৭২ ফিলিস্তিনি নিহত

নিজের গায়ে আগুন দেয়া সেই গৃহবধূ মিম আর নেই

#

নিজস্ব প্রতিবেদক

০১ জুন, ২০২২,  11:21 AM

news image

রাজধানীর শাহজাহানপুরে পারিবারিক কলহের জেরে নিজের গায়ে আগুন দেয়া অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ পাপিয়া সারোয়ার মিম (১৭) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। বুধবার (১ জুন) ভোরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তার শরীরে ৯৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। মিমের মামা রুমেল আহমেদ খান মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সকালে হাসপাতালে থাকা স্বজনদের মাধ্যমে তিনি খবর পান মিমের মৃত্যুর। আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিল সে। ভোরে সেখাই মারা গেছে। এরপর মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। এর আগে শনিবার (২৮ মে) দুপুরে শাজাহানপুর বাগিচা ঝিল মসজিদ এলাকার একটি বাড়ির দ্বিতীয় তলায় এ ঘটনাটি ঘটে।

সে ঢাকা সিটি ইন্টারন্যাশনাল কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিল। মিমের মা পারভিন আক্তার জানান, তাদের বাড়ি কুমিল্লা তিতাস উপজেলায়। স্বামী রাম্মিমের সঙ্গে ওই বাসায় ভাড়া থাকত মিম। একই এলাকাতে মিমের বাবা-মাও থাকেন। তিন বছর আগে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে দেওয়া হয়। মিম তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল। বেশ কয়দিন ধরে তাদের সংসারের কলহ শুরু হয়। রাম্মিমের চরিত্র ভালো না। মিম তাকে বিভিন্ন কারণে ভালো হতে বলতো। তবে সে মিমকে মানসিকভাবে নির্যাতন করতো। সহ্য করতে না পেরে মিম নিজের গায়ে আগুন দেয়। রাম্মিম এলাকাতে একটি ফ্লাক্সিলোডের দোকানে কাজ করে। ঘটনার দিন তিনি জানান, ঘটনার আগের রাতে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। দুজন দুজনকে সন্দেহ করতো। এসব কারণে জেদ করে মিম নিজের গায়ে নিজেই আগুন দিয়েছে। চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, মিমের শরীরে ৯৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। তার অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক ছিল।

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম