
নাগেশ্বরী প্রতিনিধি
০২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, 10:06 PM

নাগেশ্বরীর পাবলিক লাইব্রেরীটি উন্মুক্ত করার দাবি পাঠকের
নাগেশ্বরীর ঐতিহ্যবাহী উপজেলা পরিষদ লাইব্রেরী বিলিনের পথে,যেন দেখার কেউ নেই। কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে ১৯৮২ সালে নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইদ্রিস আলীর সহযোগীতায় আলহাজ্ব সাইফুর রহমান প্রতিষ্ঠা করেন নাগেশ্বরী উপজেলা পরিষদ চত্তরে উপজেলা পরিষদ লাইব্রেরী। প্রথমের দিকে দায়িত্বে ছিলেন আব্দুল মান্নান ও আরও কয়েকজন শিক্ষক। উপজেলার বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী ও সুধীজনেরা এখানে নিয়মিত বই পড়ত। পাঠকরা তাদের মনের খোরাক হিসেবে বেছে নিয়েছিল উপজেলা পরিষদ লাইব্রেরীটি।
১৯৯৫ সাল থেকে ২০১৮ সাল প্রর্যন্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত ছিলেন হরস চন্দ্র বর্মন ফন্টু। তিনি জানান ১৯৮২ সাল থেকে ১৯৯৫ সাল প্রযন্ত নিয়মিত লাইব্রেরীতে পাঠক পাঠিকা আসছিল এবং সেখানে নিয়ম অনুযায়ী চলছিল লাইব্রেরীর কার্যক্রম। ২০১৮ সালে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়ে সে সময় আমার কাছ থেকে লাইব্রেরীর আসবাব পত্র ও প্রায় ১হাজর ৫শত এর বেশি বই বুঝে নেয়ার পর প্রশাসন স্কুলে হস্তান্তর করা হয়। লাইব্রেরীটি পূর্বের জায়গায় স্থানান্তরের দাবী রাখছি সবারমত আমিও । নাগেশ্বরী সরকারী কলেজের প্রভাষক রেজাউল করিম রেজা বলেন বাংলাদেশের প্রত্যেকটি উপজেলায় জনসাধারনের জন্য একটি করে উন্মুক্ত উপজেলা পরিষদ লাইব্রেরী আছে,আমাদের নাগেশ্বরী উপজেলাতেও এমন একটি লাইব্রেরী ছিল যা উন্মুক্ত। কিন্তু দু:খ জনক হলেও সত্যি যে দির্ঘদিন ধরে আমাদের প্রানের সেই লাইব্রেরী আজ পুরোপুরি একটি সংরক্ষিত স্থানে প্রভাবশালী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রশাসন স্কুলের নিদিষ্ট গন্ডির মধ্যেই অবস্থান করছে। আমি মনে করি নাগেশ্বরী উপজেলার সেই প্রানের লাইব্রেরীটি উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপে অতি দ্রুত উদ্ধার করে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া উচিত।
উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি দয়াময়ী পাইলট একাডেমীর প্রধান শিক্ষক কে.এম আনিছুর রহমান জানান লাইব্রেরী সম্পত্তি প্রশাসন স্কুলে জবরদখলে থাকায় উপজেলার সমগ্র পাঠক সমাজ ৪ বছর ধরে বইপড়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এই অবস্থার উত্তরনে লাইব্রেরিটি পূর্বের স্থানে স্থাপন করা হোক। শিক্ষক সমিতির সংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বলেন নাগেশ্বরীর ঐতিহ্যবাহী উপজেলা পরিষদ লাইব্রেরীর আমিও একজন সদস্য, আমি চাই নির্ধারিত স্থানে লাইব্রেরিটি আনা হোক। শেকড় নাগেশ্বরীর সভাপতি মনোয়ার হোসেন সিদ্দিকি বলেন জ্ঞান চর্চার লাইব্রেরিটির অপমৃত্যু হয়েছে, তাই সেটিকে বেঁচে রাখতে পূর্বের জায়গায় ফিরে আনা হোক। আইডিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম জানায় লাইব্রেরীটি পাবলিকের দখলে থাকা উচিত । এটি কোন প্রতিষ্ঠানে থাকতে পারেনা। হাজীপাড়ার টুটুল ও নাগেশ্বরী সরকারী কলেজের প্রভাষক আজিজুল ইসলাম রানা বলেন পাবলিরে লাইব্রেরী পবিলিকদের কাছে উন্মুক্ত করে দেয়া হোক। শিশুবিতানের সহকারী শিক্ষক হাবিবুল হক মৃধা বলেন আগে লাইব্রেরিতে বই পরেছিলাম আমরা এখন লাইব্রেরিটি গন্ডিরে সরে নেয়ায় পারছিনা বই পরতে, তাই উপজেলা বাসীর লাইব্রেরীটি নির্বাচন অফিস সংলগ্ন পুর্বের যায়গায় ফিরে এনে উন্মুক্ত করা হোক। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুর আহমেদ মাসুম জানান আমাকে কেউ জানায়নি তবে লাইব্রেরিটি নিদির্ষ্ট স্থান থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার অনুমতি আছে কিনা বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখব। উপজেলার বইপ্রেমী দের দাবি জ্ঞান চর্চার সুন্দর এই প্রতিষ্ঠানটি পুর্বের স্থানে স্থাপন করে উন্মুক্ত করে দেয়া হোক।