
নাগেশ্বরী প্রতিনিধি
১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, 1:49 PM

নাগেশ্বরীতে মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে পিতৃ পরিচয়ের দাবিতে থানায় অভিযোগ
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে প্রায় ৩৩ বছর পূর্বে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বেরুবাড়ী ইউনিয়নের এনামগঞ্জ দাখিল মাদ্রাসার সুপার ও চরমোনাই সমর্থিত হাত পাখা প্রতীক নিয়ে নেওয়াশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল মান্নান কাজের মেয়ে ছামিনা বেগমের সাথে অবৈধভাবে মেলামেশায় শাহিন আলমের জন্ম হয়। স্বামী ও সন্তানের পরিচয় চেয়ে গ্রামে একাধিক শালিস-বৈঠক করেও পরিচয় না পেয়ে ভারাক্রান্ত দুঃখ নিয়ে অবশেষে প্রায় দীর্ঘ ৫বছর আগে মারা যায় ছামিনা বেগম। বর্তমানে শাহিনের বয়স ৩৩বছর এবং সে দুই সন্তানের জনক। শাহিন আলম ও তার বাবার পরিচয় চেয়ে ঘুরছেন মানুষের দ্বারে দ্বারে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ৩১জানুয়ারি শাহিন আলম কে মান্নানের প্রথম স্ত্রীর পুত্র সুমন কৌশলে বাড়ীতে ডেকে নিয়ে গিয়ে বেধম মারধর ও অটোরিকশা (মিশু) ভেঙ্গে দেয়। ঘটনার পর শাহিন নাগেশ্বরী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করে। এ ব্যাপারে স্থানীয় মহৎ সামছুল আলম অবসর প্রাপ্ত (বিজিবি)বলেন এ বিষয়ে আমরা অনেক বার বৈঠক করেছি, কিন্তু আব্দুল মান্নান শাহিনকে তার সন্তান হিসেবে মেনে নিতে নারাজ। তিনি আরও বলেন, ছামিনা বেগম আব্দুল মান্নান এ-র বাড়িতে কাজ করত, সে দেখতে অনেক সুন্দরী ছিল। তার গর্ভে সন্তান আসার পরে আমি তাকে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসা করি, ছামিনা বেগম বলে- আব্দুল মান্নান আমাকে কু প্রস্তাব দেয়, আমি রাজি না হলে জোর করে আমার সাথে মেলামেশা করে। যার ফলে আমার গর্ভে সন্তান আশে। পরে সে আমাকে বিয়ে করবে বলে অভয় দিত। ছামিনা বেগমের মা বলেন, মান্নান আমার মেয়ে ছামিনা বেগমকে এবং তার পেটের সন্তানকে মেরে ফেলার জন্য চেষ্টা করে। পরে আমরা ভয়ে আমার মেয়েকে ভুরুংগামারীতে নিয়ে পালিয়ে রাখি। আব্দুল মান্নান এ-র জামাতা অবসর প্রাপ্ত (আরমি ওয়ারেন্ট অফিসার) আব্দুল আজিজ,বলেন, আমি মান সম্মানের দিকে তাকিয়ে আমার চাচা শশুর আব্দুল মান্নানকে শাহিনকে মেনে নিয়ে বসতবাড়ি করে থাকারমত কিছু জমি দিয়ে ঘর বাড়ি করে দেয়ার প্রস্তাব করি। কিন্তু তিনি তা মানতে রাজি হয় নি। মাওলানা আব্দুল মান্নান এ-র সাথে যোগাযোগ করলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন আপনারা কি চান সেটা বলেন যাতে লেখা লেখি না হয়। আমরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ-র মাধ্যমে মিমাংসা করে নিব। শাহিন আলমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ৩৩বছর থেকে আমাকে এভাবেই ঘুরাচ্ছে। আমি আমার পিতার পরিচয় নিয়ে বাচতে চাই।