
নিজস্ব প্রতিনিধি
০৬ জানুয়ারি, ২০২২, 8:12 PM

নাগরপুরে দাদার লাঠির আঘাতে নাতির মৃত্যু
টাঙ্গাইলের নাগরপুরে পাঙ্গাস মাছ কেনা নিয়ে পরিবারের সাথে কথাকাটাকাটি ও সংঘর্ষের জেরে দাদার লাঠির আঘাতে নাতির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নের ইরতা পূর্বপাড়া গ্রামে। নিহত ওই কিশোর একই গ্রামের রেজাউল মিয়ার ছেলে মো. রিফাত মিয়ার (১৩) । নিহত রিফাত সহবতপুর হাই স্কুলের নবম শ্রেনীর ছাত্র। এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বুধবার বিকেলে সহবতপুর বাজার থেকে রিফাতের বাবা বড় একটি পাঙ্গাস মাছ কিনে আনেন। এতে রিফাতের দাদা রাজ্জাক মিয়া (৬৫) ছেলে রেজাউলকে মাছ কিনে আনার বিষয়ে প্রতিবাদ করে।
তখন রেজাউল তার স্ত্রীকে বলেন বাবা রাজ্জাক মিয়াকে মাছ দেওয়ার জন্য। এতে রাজ্জাক মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে যান। পরে রাজ্জাক মিয়া, তার স্ত্রী ও ছোট ছেলের বৌ একত্রিত হয়ে রেজাউল, তার স্ত্রী ও ছেলে রিফাতকে মারপিট করে। এঘটনায় বাবা-ছেলে গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে নাগরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। রাত অনুমানিক ১টার দিকে চিকিংসাধীন অবস্থায় রিফাতের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স থেকে মরদেহ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসাপাতাল মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করেন। এ ঘটনায় নাগরপুর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। নিহত রিফাতের বাবা রেজাউল জানান, আমি ঢাকায় কাজ করি। ছুটি নিয়ে বাড়িতে এসেছিলাম। ছেলে পাঙ্গাস মাছ খেতে চাওয়ায় বুধবার বিকেলে বাজার থেকে একটি মাছ কিনে আনি। আমার বাবা, মা ও ছোট ভাইয়ের স্ত্রী মাছকে কেন্দ্র করে আমার সাথে কথা কাটাকাটি করে। এক পর্যায়ে আমাদেরকে মারপিট করে। এতে আমার ছেলে রিফাতের মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করলে সে গুরুতর আহত হয়। ওই রাতেই আমার ছেলে রিফাত মারা যায়। নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ফাতেমাতুজ্জহুরা বলেন, গতকাল বিকেলে রিফাত ও রেজাউল মাথায় আঘাত নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। রিফাতের অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করি। স্বজনরা রিফাতকে টাঙ্গাইল নেয়ার জন্য বের হয়ে গেলেও কিছুক্ষণ পর ফেরত আসেন। রিফাতের বমি ও মাথা ব্যাথায় চোখে ঝাপসা দেখছে বলে জানান। তখন আবারও রিফাতকে দ্রুত টাঙ্গাইল নিতে বলা হয়। কিন্তু তারা না নেয়ায় অভিভাবকের অনুমতি নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। রাত একটার দিকে রিফাত মারা যায়। এ ব্যাপারে নাগরপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, হাসপাতাল থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও তিনি জানান ।