ঢাকা ০৩ আগস্ট, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
সুনামগঞ্জে অর্ধ-বার্ষিক বিচার বিভাগীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত বারহাট্টায় গোপনাঙ্গ কেটে বানানো হচ্ছে হিজড়া, চলছে মাসিক চাঁদাবাজি যেমন থাকবে আগামী ৫ দিনের আবহাওয়া কক্সবাজারে অটোরিকশাকে ট্রেনের ধাক্কা, নিহত ৪ নতুন বাংলাদেশের ইশতেহার ঘোষণা আগামীকাল: এনসিপি বর্ষায় শাকপাতা খান নিয়ম মেনে খিলগাঁওয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পিটুনিতে একজনের মৃত্যুর অভিযোগ সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেট ঝুঁকিপূর্ণ ছিল, ফায়ার সার্ভিসও সতর্ক করেছিল দেশের স্বার্থ বিসর্জনের কোনো সুযোগ নেই: বাণিজ্য উপদেষ্টা জুলাই ঘোষণাপত্র জাতির সামনে উপস্থাপন ৫ আগস্ট

নাকের অ্যালার্জির কারণ

#

১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪,  11:09 AM

news image

যে কোনো বয়সের মানুষ নাকের এলার্জি রোগে আক্রান্ত হতে পারে। অ্যালার্জির কারণে হাঁচির উপদ্রব হয় এবং এক সময় তা শ্বাসকষ্টেও রূপ নিতে পারে। নাকের অ্যালার্জিকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় অ্যালার্জিক রাইনাটিস বলা হয়। যার অর্থ হচ্ছে অ্যালার্জিজনিত নাকে প্রদাহ। সাধারণত অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী উপাদানগুলো মানুষের শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে শ্বাসনালিতে প্রবেশ করলে অ্যালার্জির উদ্ভব হয়। অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী এ পদার্থকে অ্যালার্জন বলে।

অ্যালার্জিক রাইনাইটিসের কারণ-

নানা ধরেনের অ্যালার্জন যা সচরাচর বা ঋতু পরিবর্তনের কারণে বাইরে দেখা যায়। ঘরে বা অফিসে জমে থাকা পুরনো ধুলাবালি, পরাগ রেণু, পোষা প্রাণীর পশম বা চুল। নানা ধরনের ছত্রাক, ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া ইত্যাদির কারণেও নাকে অ্যালার্জি হয়। বংশগত কারণে অনেক সময় এ রোগ হয়ে থাকে। কারও বাবা-মা বা ভাইবোনের এ রোগ থাকলে তার দেহেও এ রোগ সংক্রমিত হতে পারে। 

আবহাওয়া বা বাতাসের আর্দ্রতার তারতম্যের কারণেও এ রোগ হতে পারে। বিভিন্ন ধরনের অ্যালার্জি জাতীয় খাদ্য যেমন : চিংড়ি, ইলিশ মাছ, ডিম, পাকা কলা, গরুর মাংস, বেগুন, দুধ, ইত্যাদি গ্রহণ করলেও অ্যালার্জি হয়। মাইট হচ্ছে অ্যালার্জির সবচেয়ে বড় শত্রু। যা ঘরে জমে থাকা ধুলা, বিছানা ইত্যাদিতে থাকে।

নাকের অ্যালার্জির উপসর্গ-

নাক বন্ধ হওয়া। সাধারণত এক নাক, কখনো কখনো দুই নাকই বন্ধ হয়ে যায়। নাক দিয়ে পানি বা পানিজাতীয় পদার্থ নিঃসৃত হওয়া। মাত্রাতিরিক্ত হাঁচি হওয়া। নাকে চুলকানো বা নাকের ভিতর কিছু আছে এমন মনে হওয়া। শ্বাসকষ্ট হওয়া। নাকের ঘ্রাণশক্তি কমে যাওয়া। মাথাব্যথা ও ঘোরা অনুভব হওয়া। কাশির উপক্রম হওয়া। চোখ চুলকানো বা শরীরে অন্য কোনো স্থানে চুলকানি হওয়া। শরীরে জ্বর জ্বর, ম্যাজম্যাজ ভাব।

চিকিৎসা-

এসব রোগীর জন্য প্রথমে করণীয় হচ্ছে যে সব উপাদান অ্যালার্জির প্রকোপ বৃদ্ধি করে তা থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকা। চিকিৎসকরা এ ধরনের রোগীদের এন্টিহিস্টামিন জাতীয় ওষুধ সোডিয়াম ক্রোমোগ্লাইকেট ও স্টেরয়েড ন্যাজাল স্প্রে দিয়ে থাকেন। নাকের বন্ধভাব অল্প সময়ের জন্য নিরাময়ের পদ্ধতি হিসেবে নাকের ড্রপ দেওয়া হয়ে থাকে রোগীদের। তবে হার্টের রোগীদের জন্য জাইলোমেটাজোলিন জাতীয় নাকের ড্রপ ব্যবহার একেবারেই উচিত নয়। এন্টিহিস্টামিন শিশুদের এবং গর্ভবতী মহিলাদের জন্য সেবন ঠিক নয়। এ ছাড়া আবহাওয়া পরিবর্তনের এ সময় আরও বেশি সতর্ক হতে হবে।

লেখক : বক্ষ্যব্যাধি বিশেষজ্ঞ, মেডিনোভা, মালিবাগ, ঢাকা। 

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম