
NL24 News
২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, 11:24 AM
নবাবগঞ্জ থানাধীন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি
কে. হোসাইন: ঢাকা নবাবগঞ্জ থানা, ঢাকা রাজধানী থেকে মাত্র ২৫ কি:মি: দূরত্বে হলেও অনেকেটা বাতির নিচে অন্ধকারের শামিল। কেননা থানার আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি চরম অবনতি ঘটছে বলে সাধারণ মানুষ মনে করছে। সৃষ্ট পরিস্থিতির সুযোগ গ্রহণ করছে কিছু সন্ত্রাসী ও স্বার্থান্বেষী ব্যাক্তি, যার ফলে সমাজের সাধারণ মানুষ চরম বিপাকে ও দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। থানা কর্তাদের ইচ্ছে মতো নেয়া হচ্ছে জিডি, এজাহার অথবা অভিযোগ! তাহলে ন্যায় বিচার চাওয়ার ক্ষেত্রে জনগণের স্বাধীনতা কোথায়?
ঢাকা নবাবগঞ্জ বিগত দিনগুলোতেও ছিল অপরাধহীন সৌহার্দ্যের ঐতিহ্য বাহি একটি এলাকা। এলাকার মানুষ রাতে দরজা জানালা লাগাতে ভুলে গেলেও ঘর বাড়ি থেকে কোনো কিছু চুরি হতো না। কিন্তু ফ্যাসিবাদীদের সৃষ্ট অপরাধিরা থানা পুলিশের গাফিলতি ও স্থানীয় কিছু উভয়লিঙ্গ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের প্রভাবে অপরাধীদের ক্ষমতা দিন দিন বেড়েই চলছে, কিন্তু বর্তমানে বদনাম হচ্ছে একটি বড় রাজনৈতিক দলের! অপরাধীরা এলাকায় উভয়লিঙ্গ রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রছায়ায় থেকে একের পর এক অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে। এসব অপকর্মের মধ্যে জায়গা জমি দখল, ছিনতাই, এমনকী বাড়ির মালিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু অসৎ সদস্যদের যোগ সাজসে ভাড়াটিয়ার অবর্তমানে সাধারণ মানুষের ভাড়া নেয়া ঘরের তালা ভাঙার মতো জঘন্য কাজ করছে। যার কারণে খেঁটে খাওয়া সাধারণ মানুষ ভীত শঙ্কিত হয়ে পড়েছে। নবাবগঞ্জে তথা চুরাইন ইউনিয়নের মুন্সিনগর এলাকায় যেভাবে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সংঘটিত হচ্ছে, তাতে ধারনা করা যায় উভয়লিংগ রাজনৈতিক ব্যাক্তিদের ছাত্রছায়ায় লালিত ভূমি দস্যু ও সন্ত্রাসীদের দাপটে সাধারণ মানুষ এলাকা ছাড়তে বাধা হবে, অনেকে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছেনও! কেননা সমাজে ভদ্রবেশি অপরাধীদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও থানা কর্তৃপক্ষ সাধারণ ডায়রি গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানায় এবং ভুলকরে সাধারণ ডায়রি গ্রহণ করলেও সেই প্রতিবেদন আদালত পর্যন্ত পৌঁছয় না বা অন্যদিকে মোর ঘুরিয়ে দেয়া হয়! বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সাধারণ ডায়রি গ্রহণ করার পরিবর্তে প্রাথমিক তদন্তের নেমে নিজেদের লোকবল দ্বারা নিজেদের মত মনগড়া অভিযোগ লিখে বাদীর স্বাক্ষর নিয়ে মালদার বিবাদীর পক্ষ থেকে ফায়দা লুটছে কিছু অসাধু পুলিশ সদস্য! যে কারণে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ অসহায় নিরীহ জনগণ। কোন কারণে কখনো যদি থানা সাধারণ ডায়রি বা মামলা গ্রহণ করেও, কিছু ফ্যাসিবাদী পুলিশ সদস্যের ছত্র ছায়ায় লালিত অপরাধীরা বাদীকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে এলাকা ছাড়তে বাধ্য করে এবং সত্য পক্ষপাতিত্বকারী সাধারণ মানুষকে হুমকি দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে যাতে ওদের বিরুধ্যে কেউ কথা না বলতে পারে এবং অপরাধী ও অসাধু পুলিশ সদস্যের অপকর্ম প্রকাশ না পায়। যে কারণে অপরাধীরা সমাজে ঘুরে বেড়ায় বুক ফুলিয়া। সাধারণ নিরীহ মানুষ অন্যায়ের বিরোধিতা করতে যেয়ে পড়ছেন চরম বিপাকে এবং স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের কাছেও ন্যায় বিচার পাচ্ছে না বলে সাধারণ মানুষ মনে করেন। এই সুযোগে অপরাধীরা নির্দ্বিধায় অপরাধ করে যাচ্ছে এবং সমাজে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে অপরাধীরা। সম্প্রতি কিছু ঘটনার খোজমিলেছে যেমন, সন্ত্রাসী দ্বারা অন্যায় প্রতিবাদকারী প্রথম স্ত্রীর ভাইযের চোখ তুলে নেয়া এবং নিজের ঔরসজাত সন্তান অস্বীকার করি অপরাধী মহসিনের মতো ব্যক্তি ও নিরীহ প্রবাসীদের স্ত্রীর সাথে জোরপূর্বক অবৈধ সম্পর্ক করার মতো অপরাধী ভূমিখেকো সাইফুল এবং ওদের সহযোগী মাদকব্যাবসাইরা মুন্সিনগর এলাকার প্রধান নিয়ন্ত্রক হিসেবে পরিচিত!
সমাজের এই সকল ছদ্মবেশি অপরাধীরা ফ্যাসিস্ট সরকার আমলেও সাধারণ জনগণের উপর অন্যায় অত্যাচার করেছে বর্তমান সরকার আমলেও তাদের ক্ষমতা এলাকার আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরুকরে সর্ব ক্ষেত্রে দাপটের সহিত চলছে। উভয়লিংগ রাজনৈতিক নেতা, কর্মী ও তাদের ছাত্র ছায়ায় পালিত অপরাধীদের আসলে কোন দল নেই! যে কারণে তারা যে কোন দলে টাকা খরচ করে ঢুকে পরে এবং সমাজ অধিপতি হয়ে যতরকম অপরাধ করে বেড়াচ্ছে ক্ষমতাসীন দলের নাম ভাঙিয়ে! যে কারণে কিছু কিছু ক্ষত্রে সৎ পুলিশ সদস্যরা আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে অসহা হয়ে পড়ছে! আর ছদ্মবেশি অপরাধীরা হয়ে যাচ্ছে চরম অপরাধী। তৈরী করছে তাদের নিয়ন্ত্রিত কিশোর গ্যাং! যে সকল বখাটেদের উৎপাতে এলাকার সাধারণ মানুষ এবং মেয়েরা স্কুল কলেজ যেতে পযন্ত পারে না। তারা দলবেঁধে রাস্তায় ঘোরাফেরা কারে এবং সুযোগ বুঝে উত্ত্যক্ত করে। যার জন্যে অনেক মেয়েদের অভিভাবক উপায়ন্তর না দেখে সন্তানের স্কুল যাওয়া বন্ধ করে এবং অনেক ক্ষেত্রে সন্তানের ভালোর জন্য এলাকা ছেড়ে যেতে পর্যন্ত বাধ্য হয়েছে। নিরীহ জনগণের মতামত, এভাবে চলতে থাকলে অপরাধহীন সৌহার্দ্যের ঐতিহ্য বাহি অতীতের শান্তিপূর্ণ এলাকাটি অপরাধীদের আখড়া হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে হয়তো।