পারিবারিক পুষ্টি বাগানে। কৃষিতে এক নতুন দিগন্ত। প্রথমে পুষ্টির চাহিদা মেটাতে করা হয়েছে। বাড়তি ফসল বিক্রি করে আয় হচ্ছে।  নবাবগঞ্জ কৃষি জমি সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত ও পরিবারের নিরাপদ খাদ্যে চাহিদা পূরনে গড়ে তোলা হয়েছে বাগান। কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তরের সহযোগিতা অনাবাদি পরিত্যক্ত জমি ও বসত বাড়ির আঙ্গিনায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন প্রকল্পের আওতায় নবাবগঞ্জ উপজেলা ১১৮টি বাগান ইতিমধ্যে যন্ত্রাইল ইউনিয়নে মডেল এইসব বাগান থেকে সাকসবজি আহরণ শুরু করেছে চাষীরা উৎপাদিত সবজি দিয়ে তারা নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে বিক্রয় করে আয় করছেন।

নবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের প্রতিটি উপজেলার বাছাইকৃত তালিকাভূক্ত পরিবার থেকে স্বামী-স্ত্রী দুইজন কে প্রথমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। বসতবাড়ী আঙ্গিনায় দেড়শত জমিতে  নেটের ভেড়া দিয়ে মডেল পুষ্টি বাগান স্থাপন করা হয়।বাগানের মডেল এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে যেন একজন কৃষক সারা বছরই এখান থেকে কিছু না কিছু ফসল পান। কখনও সবজি থাকবে আবার কখনও থাকবে ফল। বীজ, সার, চারাসহ যাবতীয় ব্যয় সরকারের তরফ থেকে বহন করা হচ্ছে। কৃষান-কৃষানী শুধু পরিচর্চার দায়িত্ব পলন করছে।  প্রতিটি বাগানে উত্তর-দক্ষিণ বরাবর পাঁচটি দুটি মাথা দুটি বেড রয়েছে। এছাড়া দুই পাশে মাচা রয়েছে। বেডে লাগানো হয়েছে শাক-সবজি ও মাচায় লাউ, কুমড়া, ঝিঁঙ্গা, বেডে আছে লাল শাক, পুঁই শাক, ডাটা শাক, ধনিয়া, মুলা, কাঁচামরিচ, ফুলকপি, চাষ করেন। নবাবগঞ্জ উপজেলা যন্ত্রাইল ইউনিয়নে কান্দামাত্রা গ্রামে সুবিধা ভোগী কৃষক বিনন্দ মনোজ মজুমদার শীতকালীন সবজি তোলা হয়েছে আমাদের পরিবারের পাঁচ সদস্যদের চাহিদা মিটিয়ে কিছু সবজি বিক্রি করে লাভবান হয়েছি। বিথী রানী বলেন আমার সংসারে কাজকর্ম শেষ করে সবজি বাগান পরিচর্চা করে আমাদের সন্তানদের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে কিছু সবজি বিক্রি করেছি। সেই বিক্রির টাকা আমার ছেলে মেয়ে পড়াশুনার খরচ চালিয়ে আমরা খুব লাভবান হয়েছি। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে  প্রকল্প পরিচালক ড.আকরাম হোসেন চৌধুরী প্রকল্প পরিচালক বলেন এটি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ একটি প্রকল্প প্রকৃত জমি সদ্য ব্যবহারের মাধ্যমে চার সদস্যের একটি পরিবার সবজি চাহিদা নিশ্চিত করতে পারবে। আমরা নবাবগঞ্জে যন্ত্রাইল ইউনিয়নে ১১৮টি কৃষকদের বীজ, সার, কৃষিসরঞ্জাম দিয়েছি। পর্যাক্রমে ১৪টি ইউনিয়নে প্রতিটি ইউনিয়নে ১০০টি করে বেড তৈরি করা হবে।  মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় পরিত্যক্ত জমিতে পারিবারিক পুষ্টি বাগানের কাজ করে যাচ্ছি।