
নিজস্ব প্রতিবেদক
১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, 1:54 PM

নতুন মামলায় আনিসুল-আমুসহ ৮ জন গ্রেফতার
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্রিক রাজধানীর দুইটি থানার পৃথক তিন মামলায় সাবেক মন্ত্রী-এমপিসহ আটজনকে গ্রেফতার দেখিয়েছেন আদালত। আট আসামি হলেন- সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু, মো. আব্দুর রাজ্জাক, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, সাবেক এমপি সায়েদুল হক সুমন, কাজী মনিরুল ইসলাম মনু এবং নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার। আজ বুধবার তাদের আদালতে হাজির করা হয়। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা তাদের গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন। আদালত সেটি মঞ্জুর করেন। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) পুলিশের পৃথক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুর রহমান তাদের গ্রেফতার দেখান। মামলাগুলোর মধ্যে যাত্রাবাড়ী থানার রিয়াজ হত্যা মামলায় আনিসুল, আমু, আব্দুর রাজ্জাক, মেনন, ইনু, সুমন ও মনুকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এছাড়া একই থানার জুবাইদ ইসলাম হত্যা মামলায় মনুকে ও ভাটারা থানার নাঈম হাসান নিলয় হত্যাচেষ্টা মামলায় নজরুল ইসলামকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানার শহীদ ফারুক রোডে আন্দোলনে অংশ নেন মো. রিয়াজ। ঘটনার দিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে গুলিবিদ্ধ হন। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় এ বছরের ২২ জুলাই যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা করেন নিহতের বোন ফারজানা বেগম। নজরুল ইসলামের মামলা সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ১৯ জুলাই বিকেলে ভাটারার ১০০ ফিট নতুন বাজারের ফরাজী হাসপাতালের সামনে অন্যদের সঙ্গে মিছিলে অংশ নেন নাঈম হাসান নিলয় (১৯)। তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে তারা গুলিবিদ্ধ হন। দীর্ঘদিন চিকিৎসা নিয়ে ১৪ অক্টোবর ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৭৬ জনকে আসামি করে মামলা করেন নিলয়। মনুর মামলার সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত বছরের ২০ জুলাই যাত্রাবাড়ী থানাধীন শনির আখড়া এলাকায় আন্দোলনে অংশ নেন জুবাইদ ইসলাম। পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে আসামিদের ছোড়া গুলিতে তিনি নিহত হন। এ ঘটনায় ২৩ ফেব্রুয়ারি যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা হয়।