
নিজস্ব প্রতিনিধি
৩০ এপ্রিল, ২০২২, 4:05 PM

নওগাঁয় ক্রেতাদের পদচারণায় জমজমাট মার্কেটগুলো
আর ক"দিন পর ঈদ। করোনার পর এবার ঈদে জমজমাট হয়ে উঠেছে নিয়ামতপুরের মার্কেটগুলো। উচ্চবিত্তের শপিংমল থেকে নিম্নবিত্তের ফুটপাত সবখানেই জমে উঠেছে ঈদের মার্কেট। শনিবার(৩০ এপ্রিল) নিয়ামতপুরের বেশ কয়েকটি মার্কেটে গিয়ে দেখা যায় ঈদের কেনাবেচায় ব্যস্ত ক্রেতা-বিক্রেতারা। ক্রেতাদের পদচারণায় মুখরিত মার্কেটগুলো। এমনকি ফুটপাতের দোকানগুলোতেও নেই তিল ধারণের ঠাঁই। ঈদ মার্কেটে তরুণদের উপস্থিতি বেশী দেখা যায়। পোশাক, জুতা থেকে শুরু করে প্রসাধনী, টুপি এমনকি তৈজসপত্রের দোকানেও ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। তীব্র গরম উপেক্ষা করে মানুষ পছন্দের পোষাক এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতে মার্কেট গুলোতে ভিড় জমাচ্ছে। উপজেলার সদরের মার্কেটের কাপড় ব্যবসায়ীরা বলেন, করোনার কারণে দুই বছর মানুষ ঠিক মতো মার্কেট করতে পারে নাই। তাই এবার ঈদ উপলক্ষে দোকান গুলোতে ক্রেতাদের চাপ অনেক বেশী। ক্রেতারা তাদের পছন্দ মতো ঈদের কেনাকাটা করছে।
দুপুরে গ্রাম থেকে সদরের মার্কেটে সন্তানদের ও স্ত্রীকে নিয়ে ঈদের কেনাকাটা করতে আসেন রানা। তিনি বলেন, গতবছর মার্কেটে আসা হয়না তাদের। গত ঈদে কেনাকাটা করতে না পেরে কিছুটা মন খারাপ ছিল। তাই এবছর ঈদের কয়েকদিন আগেই মার্কেটে এসেছেন পছন্দ মতো ঘুরে ঘুরে ঈদের কেনাকাটা করার জন্য। জুতার দোকান গুলোতেও উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা যায়। সদরের মার্কেটে জুতার দোকানে বন্ধুদের নিয়ে জুতা কিনতে আসেন সরকারী কলেজের শিক্ষার্থী ইমরান হোসেন। তিনি জানান, পাজামা পাঞ্জাবির সঙ্গে মিলিয়ে পছন্দের জুতা কেনার জন্য এসেছেন তিনি। ফুটপাতের দোকান গুলোতে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। নিম্ন আয়ের পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনদের জন্য সাধ্যমতো ঈদের কেনাকাটা করছেন ফুটপাতের দোকান গুলো থেকে। ফুটপাতের দোকান গুলোতে নিন্ম আয়ের মানুষ বেশী আসেন এবং কম দামে তাদের পছন্দের কেনাকাটা করেন বলে ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা জানান। শুধু তাই না ঈদ আসলে মনে পড়ে বাঙালী পোশাক লুঙ্গি। বিক্রি বৃদ্ধি পাচ্ছে লুঙ্গি, টুপি, আতর, সুরমা ও জায়নামাজ। এসব দোকানীরা জানান, রোজার ঈদে দেশি টুপির পাশাপাশি চায়না, ওমানি, তুর্কি ও পাকিস্তানী টুপিও ভালো বিক্রি হয়। ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৮০০ টাকার মধ্যে টুপি বিক্রি হচ্ছে। ঈদের আগের রাত পর্যন্ত বিক্রি হবে এসব সামগ্রী।