
NL24 News
০২ জুন, ২০২৪, 10:20 PM

ধামরাইয়ে নির্যাতিত সেই হাসেম আলিকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর ষড়যন্ত্র ফাঁস
ফয়জুল ইসলামঃ ঢাকার ধামরাইয়ের আলোচিত সেই নির্যাতনের ঘটনা। চেয়ারম্যান ও মেম্বার কর্তৃক নির্যাতনের স্বীকার সেই হাসেম আলি কে মামলা উঠিয়ে নিতে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন হয়রানি সহ মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে। জানা যায় লুৎফর চেয়ারম্যান ও বোরহান মেম্বারের নেতৃত্বে চোর অপবাদ দিয়ে অমানুষিক নির্যাতনের স্বীকার হতে হয়েছিল্র বিল্ডিং কনস্ট্রাকশনের ঠিকাদার হাসেম আলিকে, নির্যাতনের জেরে ভেঙ্গে যায় তার হাত পা। দীর্ঘদিন হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর বাড়িতে আসে সপ্তাহ খানিক আগে এখনো ঠিকমতো সোজা হয়ে দাড়াতে পারনা। এরিমধ্য হাসেম আলিকে নির্মম নির্যাতন করে হাত-পা ভেঙে দেওয়ার ঘটনায় সেই ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যসহ অন্যদের বিরুদ্ধে দেওয়া হয় মামলা। আর সেই মামলা উঠিয়ে নিতে বিভিন্ন হুমকি ধামকী সহ ভয়ভীতি প্রদর্শন অব্যাহত রেখেছে।
এরিমধ্য হাসেম আলির প্রতিবেশী আনসার মাস্টার কে দিয়ে আসেম আলির বিরুদ্ধে আনসার মাস্টারের গরু চুরি ও তার ১৮ বছরের মেয়েকে অপহরণের চেষ্টা কালে লোকজনের উপস্থিতি টের পেলে পালিয়ে যায় হাসেম আলি -এমনটাই প্রকাশ করা হয় অভিযোগে। ঘটনার অনুসন্ধানে গণমাধ্যম কর্মীরা কুল্লা ইউনিয়নের খাতড়া গ্রামে মৃত গোলাম আলীর ছেলে হাসেম আলির প্রতিবেশী আনসার মাস্টারের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে অভিযোগের কথা জানতে চাইলে আনসার মাস্টার ও তার স্ত্রী বলে আমরা এমন কথা বলিনি,
তাহলে আনসার মাস্টারের সই সাক্ষারিত অভিযোগ পত্রে একথা লিখলো কে?-এমন প্রশ্নে তারা বলে আমরা কিছু জানিনা, যারা আমাদের সাথে থানায় গেছে তারা যা বলেছেন থানার লোক তাই লিখছে। বাদী হাসেম আলির কাছে এই অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে তিনি জানায়,বিবাদী (১)লুতফুর রহমান(চেয়ারম্যান) পিতা-মৃত রমজান আলী, (২) বোরহান উদ্দিন (মেম্বার), পিতা -মৃত রতন মিয়া, (৩)আবদুল হক, পিতা-মৃত নাছির উদ্দীন, (৪) আনসার আলী, পিতা -মৃত নান্দু বেপারী সর্ব খাতরা ধামরাই। এরা সবাই জামিনে এসে মামলা উঠিয়ে নিতে আমাকে বিভিন্ন , প্রাণ নাশের হুমকি সহ বিবাদী আনসার আলী কর্তৃক থানায় মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে, আমি উপায়ন্তর না পেয়ে ধামরাই থানায় উপস্থিত হয়ে একটি জিডি করি, জিডি নং-১৩৮৮। এব্যাপারে ধামরাই থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক অসীম বিশ্বাসের মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি হয়তো ব্যস্ততার কারণে ফোন ধরতে পারেনি।