ঢাকা ১৯ জুন, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
৫ আগস্ট সরকারি ছুটির ঘোষণা আসছে ২৫৩ জনের গুমের অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে কমিশন প্রবাসীরা ফেরার সময় শুল্ক ছাড়াই আনতে পারবেন যে ১৯ পণ্য বাংলাদেশকে দুই প্রকল্পে ৬৪০ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক আসছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘এরিক’ ইসরায়েল-ইরান সংঘাত: জরুরি বৈঠক ডেকেছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ সাবেক প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম গ্রেপ্তার বিএনপির রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা প্রচারে লিফলেট বিতরণ ইসলামপুরে শরীর সুস্থ রাখতে কাঁঠালের উপকারিতা গাজায় ইসরাইলি হামলায় একদিনে ৭২ ফিলিস্তিনি নিহত

দ্রুততম সময়ে দাফন সম্পন্ন করা সুন্নত

#

২০ আগস্ট, ২০২৪,  11:12 AM

news image

শরিয়তের সাধারণ নিয়ম বা সুন্নত পদ্ধতি হলো ব্যক্তি যে গ্রাম বা শহরে মারা যাবে, তাকে সে শহর বা গ্রামের স্থানীয় মুসলিম কবরস্থানে দাফন করা হবে। কেননা দ্রুততম সময়ে কাফন-দাফন সম্পন্ন করা আবশ্যক। আর লাশ অন্যত্র নেওয়া হলে কাফন-দাফনে বিলম্ব হওয়ার এবং বিনা প্রয়োজনে অর্থ অপচয়ের ভয় থাকে। এ ছাড়া রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর যুগে মদিনার নিকটবর্তী স্থানে সাহাবিরা মারা গেলে তাঁদেরকে সেখানেই দাফন করা হয়েছে। অথচ তাঁদের লাশ মদিনায় নিয়ে আসা সম্ভব ছিল। সাহাবায়ে কিরাম দ্বিন প্রচারের জন্য আরব উপদ্বীপের বাইরে যেখানে যিনি মারা গেছেন, তাঁকে সেখানেই দাফন করা হয়েছে। আর শহীদদের সেখানেই দাফন করা হয়েছে, যেখানে তাঁরা শহীদ হয়েছেন। হাদিসে এসেছে, আবদুর রহমান ইবনে আবি বকর (রা.) হুবশি নামক স্থানে মারা গেলেন।

পরে তাঁকে মক্কায় এনে এখানে কবর দেওয়া হলো। আয়েশা (রা.) মক্কায় এসে (ভাই) আবদুর রহমান ইবনে আবি বাক্রের কবর জিয়ারতে গেলেন এবং একটি কবিতা আবৃত্তির পর বললেন, ‘আল্লাহর কসম! আমি যদি উপস্থিত থাকতাম, তবে আপনি যেখানে মারা গেছেন সেখানেই আপনাকে দাফন করা হতো। আমি যদি আপনার দাফনের সময় উপস্থিত থাকতাম, তবে আমি আপনার কবর জিয়ারতে আসতাম না।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ১০৫৫)

যখন লাশ স্থানান্তর করা যাবে : যখন কোনো মুমিন এমন কোনো এলাকায় মারা যায়, যেখানে দাফন করলে পরবর্তী সময়ে লাশ বা কবর বিকৃতি হওয়ার ভয় থাকে অথবা অনুরূপ কোনো অসম্মানজনক কাজের আশঙ্কা থাকে, বা কাফন-দাফনের স্বাভাবিক ব্যবস্থা না থাকে, তখন লাশ অন্যত্র স্থানান্তর করা আবশ্যক।

পরিবারের সদস্যরা যেন সহজেই জিয়ারত করতে পারে এই নিয়তে নিজ এলাকায় লাশ এনে দাফন করা জায়েজ। তবে অধিক বিলম্ব হওয়ার আশঙ্কা থাকলে তা করা মাকরুহ। (আউনুল মাবুদ : ৮/৪৪৭)

ইমাম মালিক ইবনে আনাস (রহ.) একাধিক সূত্রে বর্ণনা করেছেন, ‘সাআদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস ও সাঈদ ইবনে জায়েদ ইবনে আমর ইবনে নুফাইল (রা.) আকিক নামক স্থানে মারা যান এবং তাঁদেরকে মদিনায় নিয়ে আসা হয় এবং সেখানেই তাঁদের দাফন করা হয়।’ (মুয়াত্তায়ে মালিক, হাদিস : ৩১)

তাঁদের লাশ স্থানান্তর করা হয়েছিল বহু সাহাবার উপস্থিতিতে এবং তাঁরা এই কাজে আপত্তি করেননি। নিজ এলাকার কবরস্থান নদীভাঙন বা অন্য কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিলীন হয়ে যাওয়ার ভয় থাকলে নিকটস্থ এলাকার অন্য কোনো করবস্থানে নিয়ে লাশ দাফন করা জায়েজ আছে।

অসিয়ত করে গেলে : যদি কোনো ব্যক্তি মৃত্যুর সময় নির্ধারিত কোনো কবরস্থানে দাফন করার অসিয়ত করে যায় এবং তা বাস্তবায়ন করা ওয়ারিশদের জন্য কষ্টকর ও অধিক ব্যয়বহুল না হয়, তাহলে তাদের উচিত অসিয়ত পূরণ করা। আর তা বাস্তবায়ন করা যদি কষ্টসাধ্য ও অধিক ব্যয়বহুল হয় অথবা লাশ দাফনে অধিক বিলম্ব হওয়ার ভয় থাকে, তাহলে এমন অসিয়ত পূরণ করা থেকে বিরত থাকবে। মৃত ব্যক্তি যদি নিজ মহল্লার কবরস্থানের পরিবর্তে শহরের অন্য কোনো কবরস্থানে অথবা নিকটবর্তী কোনো কবরস্থানে দাফন করার অসিয়ত করে, তাহলে তা বাস্তবায়নে শরিয়তের কোনো বাধা নেই। (আল-ফিকহু আলা মাজাহিবিল আরবাআ, পৃষ্ঠা-১২৭৭)

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম