
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৮ মে, ২০২২, 10:27 AM

দৌলতদিয়া ৪ কিলোমিটার পর্যন্ত যানবহনের দীর্ঘ সারি
কর্মস্থলে ফেরা মানুষের দুর্ভোগ কমেনি দৌলতদিয়া ঘাটে। শনিবার (৭ মে) রাতে ঘাটে আসা যাত্রীবাহী বাস এখনো ফেরি পারের অপেক্ষায় রয়েছে। তবে সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থির উন্নতি ঘটছে। রোববার (৮ মে) সকাল ৬ টায় দৌলতদিয়া ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা খুলনা মহাসড়কের ৪ কিলোমিটার পর্যন্ত যাত্রীবাহী বাস ছিল। এসব বাস দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে রাতে ঘাটে এসেছে। দীর্ঘ আট থেকে দশ ঘণ্টা অপেক্ষার পরও ফেরিতে উঠতে পারেনি এসব বাস। গরম আর দীর্ঘ সময় অপেক্ষায় অনেক নারী ও শিশু বাসের মধ্যে অসুস্থ হয়ে পরে। তবে গতকালের তুলনায় ভোগান্তি অনেক কমেছে। অনেক যাত্রী অভিযোগ করেন, শিশু আর নারীদের কষ্ট অনেক বেশি। সকালে রাস্তার পাশের যে সমস্ত টয়লেট রয়েছে তা নারীদের ব্যবহার উপযোগী না।
আবার টয়লেটগুলো নোংরা আর দুর্গন্ধ। এজন্য কষ্ট অনেক বেশি হচ্ছে। চুয়াডাঙ্গা থেকে আসা কমর উদ্দিন জানান, তার ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে রাত সাড়ে ১১ টায় ঘাটে এসেছি। প্রচণ্ড গরমে ভোর থেকে ছেলে বমি করতে করতে অসুস্থ হয়ে পরেছে। এখনো ফেরিতে উঠতে পারলাম না। কপালে কি আছে জানি না। সোহাগ পরিবহনের বাসের যাত্রী শিমুল হোসেন জানান, রোববার দুপুর দুইটা থেকে আমার অফিস। গাজীরপুর পৌঁছাতে হবে দুইটার আগে। এজন্য শনিবার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা থেকে বাসে উঠি। সকাল ৭টা বাজে। এখনও ফেরি থেকে এক কিলোমিটার দূরে। খুব কষ্টে আছি। বিআইডব্লিউটিসি আরিচা বন্দরের উপ-মহাব্যবস্থাপক শাহ খালেদ নেওয়াজ জানান, দৌলতদিয়া ঘাটে যানবাহনের চাপটা বেশি পরেছে। ঈদের ছুটির পর বাস, ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেলের চাপ এক সঙ্গে পরেছিল। তবে আজ মোটরসাইকেল আর ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ কমেছে। আস্তে আস্তে ঘাটের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে। আজ দৌলতদিয়া পাটুরিয়া নৌরুটে ২১ টি ফেরি চলছে।