ঢাকা ২১ জুন, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
এ পর্যন্ত দেশে ফিরেছেন ৩৬ হাজার ৬০১ হাজি জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের ১৮ সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত এশিয়া কাপ আর্চারিতে সোনা জিতলেন বাংলাদেশের আলিফ পরমাণু ইস্যুতে ‘রেড লাইন’ স্পষ্ট করল ইরান সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে ৬ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ ৫ আগস্ট সরকারি ছুটির ঘোষণা আসছে ২৫৩ জনের গুমের অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে কমিশন প্রবাসীরা ফেরার সময় শুল্ক ছাড়াই আনতে পারবেন যে ১৯ পণ্য বাংলাদেশকে দুই প্রকল্পে ৬৪০ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক আসছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘এরিক’

দেশে যে কোনো সময় ৭ মাত্রার ভূমিকম্পের শঙ্কা

#

নিজস্ব প্রতিবেদক

০৮ জানুয়ারি, ২০২৫,  10:54 AM

news image

একের পর এক ভূমিকম্পে কেঁপে উঠছে বাংলাদেশ। তবে উৎপত্তিস্থল অনেক দূরে হওয়ায় এখন পর্যন্ত কোনো ক্ষয়ক্ষতির ছাপ পড়েনি বাংলাদেশে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বড় মাত্রার ভূমিকম্পের ফেরার সময়কাল ধরা হয় ১৫০-২৫০ বছর। কিছু ভূমিকম্প ১২৫ বছর পর ফিরে আসার অতীত রেকর্ড রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই বাংলাদেশে বড় মাত্রার যে ভূমিকম্প হয়েছিল সেগুলো পুনরায় হওয়ার সময় এরই মধ্যে অতিক্রম করেছে; তাই যে কোনো সময় ৭ মাত্রার ভূমিকম্প হতে পারে- এমন আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিশেষজ্ঞরা। তবে ৭ মাত্রার ভূমিকম্প হলে তার প্রভাবে যে ক্ষয়ক্ষতি হবে তা মোকাবিলা করতে সরকার বা দেশের মানুষের প্রস্তুতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা। বাংলাদেশে যে চারটি বড় মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে সেগুলোর মধ্যে ১৮৯৭ সালে ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প হয় সিলেটের ডাউকি ফল্ট লাইনে। এর ফলে সিলেট শহর, ভারতের শিলং ও গুয়াহাটি শহরের প্রায় সব ভবন ধসে পড়ে কয়েকশ মানুষের প্রাণহানি ঘটে। এ ছাড়া ১৮৮৫ সালে বগুড়ার কাছাকাছি বেঙ্গল আর্থকোয়েক হয় ৭.১ মাত্রার। এরপর ১৯৮০ সালে শ্রীমঙ্গলে ৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। সবশেষ ১৯৯৩ সালে রংপুরের কাছাকাছি আরও একটি বড় মাত্রার ভূমিকম্প হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, কোনো ফল্ট লাইনে ১২৫ বছর পর পুনরায় বড় ধরনের ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার রেকর্ড রয়েছে। সেই হিসেবে বাংলাদেশের এই চারটি ফল্ট লাইনে যে কোনো সময় ৭ বা তার অধিক মাত্রার ভূমিকম্প হতে পারে বলে মনে করেন তারা। যদি এসব ফল্ট লাইনে ৭ মাত্রার ভূমিকম্প হয় তাহলে রাজধানীর ঢাকার প্রায় ৩০ ভাগ ভবন ভেঙে গুঁড়া হয়ে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। এতে ব্যাপক প্রাণহানির আশঙ্কাও রয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ভূমিকম্প সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব ও বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মেহেদী আহমেদ আনসারী বলেন, আমাদের দেশে যে চারটি ফল্ট লাইনে বড় মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে, সেগুলোর সাইকেল রেকর্ড এরই মধ্যে অতিক্রম করেছে। তাই যে কোনো সময় ৭ বা তার অধিক মাত্রার ভূমিকম্প হতে পারে। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশের কাছাকাছি কোনো ফল্টে যদি ৭ মাত্রার অধিক ভূমিকম্প হয় তাহলে ঢাকার পরিস্থিতি কেমন হতে পারে জানতে চাইলে এই বিশেষজ্ঞ বলেন, আমরা এর আগে একটি সমীক্ষা করেছিলাম। সেখানে বলেছি ৭ মাত্রার ভূমিকম্প হলে প্রায় ৩০ ভাগ ভবন ভেঙে গুঁড়া হয়ে যেতে পারে। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দেশে বিল্ডিং কোড থাকলেও কোনো প্রতিষ্ঠানই তা মানেনি। এমনকি সেগুলো বাস্তবায়নে সরকারি সংস্থাগুলোর তৎপরতাও চোখে পড়ে না বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, পুরনো ২-৩ বা ৫ তলার যেসব ভবন আছে, যেগুলো ভূমিকম্প সহনীয় নয়, সেগুলো যদি বিধ্বস্ত হয়, সেক্ষেত্রে প্রথমত এখনই সেগুলোকে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। দ্বিতীয়ত, উদ্ধার কাজের জন্য নিয়মিত কিছু মহড়া করে করে প্রস্তুতি নেওয়া দরকার। কিন্তু তা তো হচ্ছে না। সরঞ্জাম কেনা আছে, কিন্তু সেগুলো গত ১০ বছর ধরে ব্যবহৃতই হচ্ছে না। রানা প্লাজা দুর্ঘটনার সময় অল্প কিছু ব্যবহৃত হয়েছিল। কিন্তু তারপর আর হয়নি। সূত্র : আমাদের সময় 

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম