
নিজস্ব প্রতিবেদক
২৭ জুলাই, ২০২২, 2:32 PM

দেশে পেট্রোল-অকটেনের কোনো ঘাটতি নেই: বিপিসি
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) জানিয়েছেন, দেশে পেট্রোল ও অকটেনের কোনো ঘাটতি নেই। রাজধানীসহ দেশের পেট্রল পাম্পে সরবরাহ স্বাভাবিক ও স্থিতিশীল রয়েছে বলেও দাবি সংস্থাটির। এছাড়া, আগামী ৬ মাসের তেল আমদানির শিডিউলও নিশ্চিত আছে বলে জানিয়েছেন বিপিসি’র চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ। বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই ) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য জানান। দেশে পেট্রোল ও অকটেনের মজুত নিয়ে মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) রাত থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব রটানো হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন,
পেট্রোল পাম্পে তেল সরবরাহ কমানোর কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তেল নেওয়ার ক্ষেত্রেও কোনো সীমাবাধা নেই। এ বি এম আজাদ বলেন, দেশে ডিজেল মজুদ আছে ৩২ দিনের। জেট ফুয়েলের মজুদও আছে পর্যাপ্ত সময়ের। জেট ফুয়েলের মজুদ আছে ৪৪ দিনের। সাইক্লিক অর্ডারে জ্বালানির আমদানির নিশ্চয়তা আছে। এ নিয়ে কোনো সঙ্কট নেই। তিনি বলেন, বিদেশি কোম্পানিগুলোর সঙ্গে বিপিসির চুক্তি অনুযায়ী জ্বালানি তেলের সরবরাহ লাইন এখনও স্বাভাবিক আছে। সরকার চাইছে দেশে জ্বালানি তেলের ব্যবহার ২০ থেকে ৩০ শতাংশ কমাতে। এ লক্ষ্যে আমরা (বিপিসি) কাজ করছি। বিপিসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দেশে সবচেয়ে বেশি চাহিদা থাকা ডিজেলের মজুত আছে এক মাসের বেশি। অকটেন ও পেট্রলের মজুতও পর্যাপ্ত রয়েছে। পাশাপাশি চট্টগ্রাম বন্দরে খালাসের অপেক্ষায় আছে আমদানি করা ডিজেল। এছাড়া ইস্টার্ন রিফাইনারি এবং দেশীয় বেসরকারি প্ল্যান্টগুলোতে অকটেন ও পেট্রল উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে। মূলত দেশেই রিফাইন করে পেট্রল ও অকটেন সরবরাহের কারণে নির্ভর করতে হয় না আমদানির ওপর। তাই বৈশ্বিক জ্বালানি পরিস্থিতি টালমাটাল হলেও পেট্রল ও অকটেন নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই বলে জানান নীতিনির্ধারকরা।