
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৬ আগস্ট, ২০২২, 10:29 PM

দূরপাল্লায় ৪০ পয়সা, মহানগরীতে ৩৫ পয়সা বাস ভাড়া বেড়েছে
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে বাড়ল গণপরিবহনের ভাড়া। মহানগরীতে বাস ও মিনিবাসের ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে ২টাকা ১৫ পয়সা থেকে বেড়ে ২ টাকা ৫০ পয়সা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এছাড়া আন্তঃজেলা ও দূরপাল্লার রুটে প্রতি কিলোমিটারে বাস ও মিনিবাসের ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া ১ টাকা ৮০ পয়সা থেকে ২ টাকা ২০ পয়সা বাড়ানো হয়েছে। এদিকে বাসে সর্বনিম্ন ভাড়া ১০ টাকা এবং মিনিবাসে ৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামীকাল রোববার (৭ আগস্ট) থেকে এ ভাড়া কার্যকর করা হবে। শনিবার (৬ আগস্ট) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সঙ্গে পরিবহন মালিকদের বৈঠক শেষে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদারের সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সড়ক ও পরিবহন মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েতুল্লাহ, সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী, ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক ও পরিবহন শ্রমিক নেতারা। এছাড়া পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তারাও বৈঠকে ছিলেন। এরআগে গতকাল শুক্রবার (৫ আগস্ট) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপপ্রধান তথ্য অফিসার মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিনের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি), ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডে (ইআরএল) পরিশোধিত এবং আমদানি/ক্রয় করা ডিজেল, কেরোসিন, অকটেন ও পেট্রোলের মূল্য সমন্বয় করে ভোক্তা পর্যায়ে পুনর্নির্ধারণ করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডিপোর ৪০ কিলোমিটারের ভেতর ভোক্তা পর্যায়ে খুচরা মূল্য ডিজেল ১১৪ টাকা প্রতি লিটার, কেরোসিন ১১৪ টাকা প্রতি লিটার, অকটেন ১৩৫ টাকা প্রতি লিটার ও পেট্রোল ১৩০ টাকা প্রতি লিটার হবে। শুক্রবার রাত ১২টার পর থেকে কার্যকরের কথা বলা হয় বিজ্ঞপ্তিতে। আগে ভোক্তা পর্যায়ে খুচরা মূল্য ছিল প্রতি লিটার ডিজেল ৮০ টাকা, কেরোসিন ৮০ টাকা, অকটেন ৮৯ টাকা ও পেট্রোল ৮৬ টাকা। এ বিষয়ে শনিবার (৬ আগস্ট) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, জনবান্ধব আওয়ামী লীগ সরকার সবসময় আমজনতার স্বস্তি ও স্বাচ্ছন্দ্য বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়। যতদিন সম্ভব ছিল ততদিন সরকার জ্বালানি তেলের মূল্য বাড়ানোর চিন্তা করেনি। অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে অনেকটা নিরুপায় হয়েই কিছুটা অ্যাডজাস্টমেন্টে যেতে হচ্ছে। ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে সরকার জ্বালানি তেলের মূল্য কমিয়ে দিয়েছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সে অনুযায়ী জ্বালানি তেলের মূল্য পুনর্বিবেচনা করা হবে। এদিকে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েতুল্লাহ বলেন, সরকার জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়েছে। যা বাড়িয়েছে তাতে পরিবহন খাতে অস্থিরতা দেখা দেয়া খুবই স্বাভাবিক। কেন, কী কারণে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে সেটার ব্যাখ্যা সরকারই দেবে। তবে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে ভাড়ার সমন্বয় না হলে পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তিনি বলেন, আমরা পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের নেতা ও মালিকপক্ষ বৈঠকে বসবো ভাড়া সমন্বয়ের বিষয়ে।