
নিজস্ব প্রতিনিধি
২৩ জানুয়ারি, ২০২২, 11:55 AM

দিবর ছিদ্দিকনগর দাখিল মাদ্রাসার কমিটি গঠনে অনিয়মের অভিযোগ
নওগাঁর পত্নীতলার দিবর ছিদ্দিকনগর দাখিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটি গঠনে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এবিষয়ে পত্নীতলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও সাপাহার প্রেসক্লাব বরাবর প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী ও অভিভাবক স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ পত্র দাখিল করা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, উপজেলার দিবর ছিদ্দিকনগর দাখিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির কার্যনির্বাহী পরিষদ ভেঙ্গে দেওয়ার পর দিবর ধোয়া পাড়া গ্রামের মুজাফফর হোসেনের ছেলে রেজোয়ান হোসেন ( আন্টু ) কে আহবায়ক প্রধান করে নতুন কমিটি গঠনের লক্ষে ছয় মাস মেয়াদী একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়।
এ সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে তিন মাসের মধ্যেই ছাত্র-ছাত্রীর অভিভাবক বৃন্দের উপস্থিতি ছাড়াই গোপনীয় ভাবে গত ১৩ জানুয়ারী/২২ মাদ্রাসার সুপার আশিকুর রহমান ও আহ্বায়ক প্রধান রেজোয়ান হোসেন আন্টু নিজেদের সভাপতি ও সদস্যসচিব ঘোষণা করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে অনুমোদনের জন্য মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে পাঠিয়েছে। আবেদনের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য অভিভাবক বৃন্দ ও সাবেক সভাপতি শামসুদ্দিনের সাথে কথা হলে তারা জানান, আবেদনের পুরো বিষয়টি সত্য এবং এই নির্বাহী পরিষদ আমরা মানি না পরবর্তীতে সকল অভিভাবকের উপস্থিতিতে কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠনের দাবি জানান তারা। এ বিষয়ে মাদ্রাসা সুপার আশিকুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমি সহ-সুপার অবস্থায় সুপারেন্টেন্ড অবসর গ্রহণ করিলে ভারপ্রাপ্ত সুপার হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করি এবং কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ায় আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। এবং পরবর্তীতে সবার উপস্থিতিতে এবং সর্বসম্মতিক্রমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা হয়েছে। বর্তমান সভাপতি রেজোয়ান হোসেন আন্টু বলেন, সবার সম্মতিক্রমে আমাকে আহবায়ক প্রধান ও পরবর্তী তিন মাস পর উপস্থিত সকলের সর্বসম্মতিক্রমে সভাপতি নির্বাচিত করা হয় এখানে গোপনীয়তার কোন বিষয় নেই। বর্তমান কমিটির বৈধতা পুরোপুরি সঠিকতা আছে বলেও জানান তিনি। এ বিষয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মুসহাকের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, মাদ্রাসাগুলো দেখভাল করেন একাডেমিক সুপারভাইজার তবে অভিযোগ পাওয়ায় তদন্তের দায়ভার আমার উপরে পড়েছে আমি এর সঠিক তদন্ত করবো। অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে পত্নীতলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ লিটন সরকার জানান, এ বিষয়ে অভিযোগ দায়ের হয়েছে এবং আমি বিষয়টি নিরসনের জন্য মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কে দায়িত্ব অর্পণ করেছি।