
নিজস্ব প্রতিনিধি
১৬ এপ্রিল, ২০২২, 2:46 PM

তালতলীতে সূর্যমুখী চাষে সফলতার মুখ দেখছেন শিক্ষক আবু হানিফ!
তালতলী উপজেলা সিলভার তলি গ্রামের তরুণ উদ্যোক্তা মোঃ আবু হানিফ সূর্যমুখীর পরিচর্যা করছেন- এ যেন গায়েহলুদের কনে। মুখটা হলুদ আর শরীরে সবুজ শাড়ি। হঠাৎ দেখায় এমন মনে হতেই পারে। সবগুলোই ফুল গাছ। সবুজ-হ্যাংলা গাছের চূড়ায় বিরাট হলদে ফুল। পৃথিবীর মতো গোলাকার ফুলগুলো চেয়ে আছে সূর্যের দিকে। নাম তার সূর্যমুখী। একবার সূর্যমুখী বাগানে না গেলে বোঝাই যাবে না, কী অপূর্ব সুন্দর দৃশ্য। আবু হানিফ একজন আদর্শ শিক্ষক। শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি কৃষি কাজ শুরু করেন । তার সাফল্য দেখে এলাকার অন্যান্যও কৃষকরাও সূর্যমুখী চাষে ঝুঁকছেন। তার বাড়ির সামনে প্রায় ৪ বিঘা জমির ওপর তিনি এ সূর্যমুখী চাষ করেন ।
এছাড়াও তিনি ৪ বিঘা জমিতে ভুট্টা,১২বিঘি জমিতে মুগ ডাল চাষ করেন। আবুহানিফ হলেন কড়ইবাড়িয়া দাখিল মাদ্রাসার সম্মানিত শিক্ষক ও তালতলী উপজেলা ছোট বগী ইউনিয়ন এর ইব্রাহিম হাওলাদার এর একমাত্র বড় ছেলে । এ বছর প্রায় ৮ একর জমির মধ্যে সূর্যমুখী , ভুট্টা ও মুখ ডালের ক্ষেত করেছেন তিনি। তিনিই মূলত উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর থেকে কৃষিবিষয়ক প্রশিক্ষণ নিয়ে কৃষিকাজ শুরু করেন। তরুণ উদ্যোক্তা মোঃ আবু হানিফ জানান , এ বছরই আমার ক্ষেতে সূর্যমুখীর চাষ করছি। তিনি আরো বলেন সূর্যমুখী ভুট্টা এবং মুগডালে মোট খরচ হয়েছে ৮০ হাজার টাকা। প্রাকৃতিক আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবছর আল্লাহর রহমতে ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা কৃষি খামার থেকে আয় করতে পারবো। সরকারি সহযোগিতা পেলে তার প্রজেক্টকে আরও বেগবান করে এলাকার বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান করতে পারবে বলে মনে করেন তিনি । বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তুলতে হলে এভাবে গ্রামগঞ্জে গড়ে তুলতে হবে কৃষি প্রজেক্ট তাহলেই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে। তিনি আরো বলেন উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর থেকে আমাকে কোন সাহায়তা করা হয়নি। তবে বর্তমানে কৃষি কর্মকর্তারা মাঝেমধ্যে এসে ক্ষেত দেখে যাচ্ছেন। অনেক সময় পরামর্শ দিচ্ছেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, সূর্যমুখী ফুল থেকে চারা রোপণের দিন থেকে ৯০ দিনের মধ্যে ফল আসে। উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর থেকে প্রতিটি কৃষককে সূর্যমুখী ফুলের বীজ ও সার সরবরাহ করা হয়েছে। ওই সব সূর্যমুখী ফুলের ক্ষেত কৃষি কর্মকর্তা পরিদর্শন করে কৃষককে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। দিন দিন এ উপজেলায় এ ফুল চাষে কৃষকের মধ্যে আগ্রহ বাড়ছে।