
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৫ জুন, ২০২৫, 10:28 PM

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ১৫ কিলোমিটার যানজট
শিল্প অধ্যূষিত গাজীপুর থেকে স্বজনদের সাথে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে ইতিমধ্যে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন অনেকেই। পরিবহন সংকট ও অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে গাজীপুরের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ময়মনসিংহগামী লেনে ১৫ কিলোমিটার এলাকায় যানজট তৈরি হয়েছে। যানজট নিরসনে কাজ করছে পুলিশ। ইমাম পরিবহনের চালক হাতেম আলী বলেন, দিনভর ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে থেমে থেমে যানবাহন চলেছে। দিনে থেমে থেমে যানজট পর্যায়ক্রমে বড় আকার তৈরি হয়েছে। অন্যান্য চালকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে দেখেছি, শ্রীপুরের গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি এলাকা থেকে ভালুকার সীডস্টোর-আমতলী পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার এলাকায় যানজট রয়েছে। মাওনা এলাকার বাসিন্দা সাঈদ চৌধুরী প্রতিদিনই ১২ কিলোমিটার দুরে ভবানীপুর এলাকায় অফিস করেন। এই ১২ কিলোমিটার পথ তিনি ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যে পার হন। কিন্তু ঈদযাত্রায় আড়াই ঘণ্টায় মাত্র ৮ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছেন। সাঈদ চৌধুরী বলেন, প্রায় আড়াই ঘণ্টার মতো গাড়িতে বসে আছি। আমার চাইতে বেশি ভুগছে ঈদে ঘরে ফেরা সাধারণ মানুষ, নারী যাত্রী ও বিশেষ করে শিশুরা। মহাসড়কের দায়িত্বে থাকা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনীর চাইতেও মহাসড়কে চলাচল নির্বিঘ্ন করতে বাস চালক ও সহকারীদের সচেতনতা জরুরী। তারা একটু আন্তরিক হলে এ ধরনের ভয়াবহ যানজট এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব হতো। মাওনা হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আইয়ুব আলী বলেন, ময়মনসিংহের ভালুকার সীডস্টোরে দুপুরের পর থেকে যাত্রী ও যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ বাড়ে। এছাড়াও বিকেলে ঈদ যাত্রায় হানা দেয় বৃষ্টি। বৃষ্টির সময় অনেক বাস যাত্রী তুলতে পারেনি। দীর্ঘ সময় তারা মহাসড়কের পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। এ কারণে মোড়ে মোড়ে যানজটের তৈরি হয়েছে। সেই যানজট এখন কয়েক কিলোমিটার এলাকায় ছড়িয়েছে। হাইওয়ে পুলিশ যানজট নিরসনে কাজ করছে।