ঢাকা ২৩ জুন, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
ইসরায়েলি হামলায় আইআরজিসির ১০ সদস্য নিহত ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে কলারোয়ায় দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা যশোরে বাসচাপায় কলেজ শিক্ষার্থী নিহত নতুন বাংলাদেশ সৃষ্টিতে স্কাউটরা ইতিহাস সৃষ্টি করেছে: প্রধান উপদেষ্টা লাগাতার কর্মসূচি ঘোষণা এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ইরানের ৬ বিমানবন্দরে হামলা, ১৫ উড়োজাহাজ–হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত ইরানের দফায় দফায় হামলা, ইসরায়েলজুড়ে বিস্ফোরণ বরগুনায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান রাষ্ট্রপতিকে স্পিকারের শপথ পড়ানোর বিধান নিয়ে রুলের শুনানি ৭ জুলাই চমক রেখেই শ্রীলঙ্কা সিরিজের ওয়ানডে দল ঘোষণা বিসিবির

ডেপুটি স্পিকারের মরদেহ দেশে পৌঁছেছে

#

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৫ জুলাই, ২০২২,  10:09 AM

news image

জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া এমপির মরদেহ আজ (সোমবার) দেশে পৌঁছেছে। সোমবার (২৫ জুলাই) সকালে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট ফজলে রাব্বী মিয়ার মরদেহ নিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে সকাল সাড়ে ১০টায় প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া দ্বিতীয় জানাজা গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার ভরতখালী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। সবাইকে জানাজায় অংশগ্রহণের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে। শনিবার (২৩ জুলাই) সংসদ সচিবালয় সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে। এদিকে ফজলে রাব্বী মিয়া এমপির সংসদীয় আসন গাইবান্ধা-৫ শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি মৃত্যুবরণ করায় ওই দিন থেকেই আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে। রোববার (২৪ জুলাই) জাতীয় সংসদ সচিবালয় থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। কোনো সংসদীয় আসন শূন্য ঘোষিত হলে ৯০ দিনের মধ্যে উপনির্বাচনের কথা সংবিধানে উল্লেখ রয়েছে। শুক্রবার (২২ জুলাই) দিবাগত রাতে যুক্তরাষ্ট্রের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। ফজলে রাব্বী মিয়া ১৯৪৬ সালে গাইবান্ধায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি গাইবান্ধা-৫ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ছিলেন। শিক্ষাজীবনে ফজলে রাব্বী মিয়া ১৯৬১ সালে গাইবান্ধা কলেজে ভর্তি হন। পরবর্তীতে তিনি বিএ এবং এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৬৮ সালে তিনি বাংলাদেশ বার কাউন্সিল সনদ লাভ করেন। এরপর ১৯৮৮ সালে তিনি সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য হন। পেশায় আইনজীবী ফজলে রাব্বী মিয়া রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। ১৯৫৮ সালে রাজনীতিতে আসেন ফজলে রাব্বী মিয়া। তখন তিনি অষ্টম শ্রেণিতে পড়তেন। ১৯৫৮ সালে আইয়ুব খান পাকিস্তানে মার্শাল ল’ চালু করেছিলেন। সে সময় ফজলে রাব্বীর চাচা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। চাচার মাধ্যমে তিনি মার্শাল ল' বিরোধী আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। এভাবেই তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৬২-৬৩ সালে শিক্ষা কমিশন রিপোর্টের বিরুদ্ধে তিনি আন্দোলন করেছিলেন। এরপর ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে ফজলে রাব্বী মিয়া মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করেন। তিনি ১১নং সেক্টরে যুদ্ধ করেন। এ ছাড়া বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে বৈশ্বিক জনমত গড়ে তুলতে তিনি কাজ করেছেন। ফজলে রাব্বী মিয়া ১৯৮৬ সালের তৃতীয়, ১৯৮৮ সালের চতুর্থ, ১৯৯১ সালের পঞ্চম ও ১২ জুন ১৯৯৬ সালের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৫ আসন থেকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে পরাজিত হন। পরে ২০০৮ সালের নবম, ২০১৪ সালের দশম ও ২০১৯ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৫ আসন থেকে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯০ সালে আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেন তিনি। দশম সংসদ থেকে তিনি ডেপুটি স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম