
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৫ নভেম্বর, ২০২১, 8:56 PM

ডিজেলের দাম না কমালে আগামীকাল থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ
দেশজুড়ে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদের চলছে পরিবহন ধর্মঘট। শুক্রবার থেকে এই ধর্মঘট চললেও নৌপথে তা চোখে পড়েনি। তবে পরিবহন মালিকদের সঙ্গে এবার একাত্মতা প্রকাশ করেছেন লঞ্চ মালিকরা। নৌযান চলাচল নিয়ে তাদের সিদ্ধান্তের কথা গণমাধ্যমে জানিয়েছেন। সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বরিশাল নদী বন্দর থেকে ঢাকাগামী সকল লঞ্চ ছেড়ে যাবে। তবে শনিবার (৬ নভেম্বর) বেলা ১২টার মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে ডিজেলের দাম কমানো কিংবা লঞ্চ ভাড়া বাড়ানো সংক্রান্ত কোনো সিদ্ধান্ত না এলে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখবে মালিকরা। শুক্রবার (৫ নভেম্বর) লঞ্চ মালিকরা গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এদিকে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সব ধরনের গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। শুক্রবার (৫ নভেম্বর) সকাল থেকে অনির্দিষ্টকাল এই পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয় মালিক শ্রমিকরা। তাদের দাবি, তেলের দাম কমাতে হবে, নয়তো পরিবহন ভাড়া বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিতে হবে। আর সরকারের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত পরিবহন চলাচল বন্ধ রাখবেন তারা। উল্লেখ্য, দেশের বাজারে বুধবার (৩ নভেম্বর ) ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ১৫ টাকা (২৩ শতাংশ) বাড়িয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়। মূল্য বৃদ্ধির ফলে বুধবার রাত থেকেই ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ৬৫ টাকার পরিবর্তে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে অকটেনের দাম ৮৯ টাকা ও পেট্রলের দাম আগের মতোই প্রতি লিটার ৮৬ টাকা রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এতে করে পরিবহন ও কৃষি ব্যয় বাড়বে, প্রভাব পড়তে পারে বিদ্যুতের দামেও; সবমিলিয়ে চাপ বাড়বে সাধারণ মানুষ। করোনা মহামারি মোকাবিলায় লকডাউনের কারণে দীর্ঘদিন দেশের গণপরিবহন বন্ধ ছিল। পরিবহন মালিকরা লোকসান গুনেছেন। পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে আসছিল। এই মুহূর্তে পরিবহনের জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিতে গণপরিবহনে ভাড়া নিয়ে অস্থিরতা দিয়েছে। ইতিমধ্যে গণপরিবহন ও পণ্যবাহী যানবাহন বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন এই খাতের মালিক-শ্রমিকরা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।