ঢাকা ২০ জুন, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
এ পর্যন্ত দেশে ফিরেছেন ৩৬ হাজার ৬০১ হাজি জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের ১৮ সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত এশিয়া কাপ আর্চারিতে সোনা জিতলেন বাংলাদেশের আলিফ পরমাণু ইস্যুতে ‘রেড লাইন’ স্পষ্ট করল ইরান সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে ৬ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ ৫ আগস্ট সরকারি ছুটির ঘোষণা আসছে ২৫৩ জনের গুমের অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে কমিশন প্রবাসীরা ফেরার সময় শুল্ক ছাড়াই আনতে পারবেন যে ১৯ পণ্য বাংলাদেশকে দুই প্রকল্পে ৬৪০ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক আসছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘এরিক’

ডলারের বদলে ঋণের ক্ষেত্রে ইউয়ান ব্যবহারের পরামর্শ চীনের

#

০৭ মে, ২০২৩,  10:39 AM

news image

ঋণ হিসেবে ডলারের পরিবর্তে বাংলাদেশকে চীনা মুদ্রা রেনমিনবি (ইউয়ান) ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে চীনের এক্সপোর্ট-ইম্পোর্ট (এক্সিম) ব্যাংক। গভীর দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা ও ডিজিটাল সংযোগ প্রকল্প বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করতে এই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এক্সিম ব্যাংকের রেয়াতি ঋণ বিভাগের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার লি কিউনজি বলেছেন, ‌‘চলমান মার্কিন ডলার সংকট বিবেচনায় রেখে ডিজিটাল সংযোগ স্থাপনে অগ্রগতি ত্বরান্বিত করতে জোরালোভাবে সুপারিশ করছি যে ঋণ মুদ্রা (লোন কারেন্সি) হিসেবে ইউয়ান ব্যবহার করুন।’ 

কিউনজি চিঠিতে আরও বলেছেন, ‘মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হারের বেঞ্চমার্ক বৃদ্ধিসহ ইউএসডি হারের বর্তমান ওঠানামার প্রেক্ষিতে, বাংলাদেশ এবং চীন উভয়ই উচ্চ অর্থায়ন ব্যয়ের মতো উল্লেখযোগ্য ঝুঁকি বহন করছে। বাজারে মার্কিন ডলারের দামের কারণে পিবিসির অর্থায়ন করা প্রকল্পেও সুদের হার বৃদ্ধি পেতে পারে। অর্থায়নের মুদ্রা হিসেবে ইউয়ানের ব্যবহার সুদের হারের কারণে সৃষ্ট ঝুঁকি ও ডলারের ঘাটতির চাপ থেকে মুক্তি দিতে পারে।’ চীনের এক্সিম ব্যাংকের চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের দেওয়া অগ্রাধিকার প্রকল্প তালিকা অনুযায়ী আরও সহযোগিতার সম্ভাবনা রয়েছে। ইআরডির একজন কর্মকর্তা বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া না হলেও অর্থ মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ ব্যাংক ও ইআরডির কাছে এ বিষয়ে মতামত চেয়েছে। তিনি জানান, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হ্রাসের প্রবণতা বিবেচনায় প্রস্তাবটি যৌক্তিক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, সরকার চীনকে ইউয়ানের পরিবর্তে মার্কিন ডলারে ঋণ পরিশোধ করে। তাই বর্তমান সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে এ বিষয়ে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ২০১৬ সালের অক্টোবরে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ঢাকা সফরের সময় স্বাক্ষরিত একটি সমঝোতা স্মারক অনুসারে ২০ বিলিয়ন ডলার ঋণের আশ্বাস দিয়েছে। পিবিসি প্রকল্পটি ছিল ২৭টির মধ্যে একটি যার পরিপ্রেক্ষিতে এই ঋণ অনুমোদন করা হয়। বাংলাদেশ চীনে পণ্য রপ্তানি করে প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার আয় করে। যেখানে বিশাল অর্থনীতি থেকে আমদানি বার্ষিক ১৫ বিলিয়ন ডলার। এছাড়া বর্তমানে দেশে চীনা অর্থায়নে সাতটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এসব প্রকল্পের জন্য মোট ৭৬৪ কোটি ডলার দিচ্ছে চীনের এক্সিম ব্যাংক। প্রেফারেন্সিয়াল বায়ার্স ক্রেডিটের (পিবিসি) আওতায় এসব ঋণ নিয়েছে বাংলাদেশ। এই ঋণের একটি শর্ত হলো- চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এসব প্রকল্পে কাজ করবে।

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম