ঢাকা ২২ জুন, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
হজে ৩৮ বাংলাদেশির মৃত্যু, দেশে ফিরেছেন প্রায় ৪৩ হাজার হাজি ১৮ দিনে এলো ২২ হাজার কোটি টাকার বেশি রেমিট্যান্স শামীম ওসমানের দুই প্লট জব্দ, ২৯ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ অবশেষে শক্তিশালী সেই ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালাল ইরান উপদেষ্টা পরিষদে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন কালো টাকা সাদা করা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত গাজীপুর মহানগর প্রেসক্লাবের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত সাবেক ৩ সিইসির বিরুদ্ধে বিএনপির মামলা বাস-অটোরিকশার সংঘর্ষে প্রাণ গেল ৩ জনের মার্কিন হামলার পর দফায় দফায় ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করছে ইরান

চাঁদপুরে বই খুলে পরীক্ষা, দুই কেন্দ্রে সচিবসহ ৫ জন প্রত্যাহার

#

নিজস্ব প্রতিনিধি

০৯ জুলাই, ২০২৪,  4:17 PM

news image

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলায় পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থীরা বই খুলে এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়ার অভিযোগে দায়িত্বরত দুই কেন্দ্র সচিবসহ পাঁচজনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তারা হচ্ছেন, পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. আবুল বাশার ও নিন্দুপুর মহীউদ্দীন খান আলমগীর স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. হাবিবুর রহমান। কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার চিঠির আলোকে এ ব্যবস্থা নেন কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক। এ ছাড়া একই অভিযোগে চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ওই কেন্দ্রের ট্যাগ অফিসার সোহেল রানাসহ দায়িত্বরত দুই শিক্ষককেও প্রত্যাহার করা হয়। তবে এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। জানা গেছে, এবারের এইচএসসির বাংলা দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষার দিন কচুয়ার সাবেক সাংসদের নামে প্রতিষ্ঠিত নিন্দুপুর মহীউদ্দীন খান আলমগীর স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রের তৃতীয় তলার ১০৭ নম্বর কক্ষে পরীক্ষার্থীরা কেউ বই খুলে, কেউবা বাহির থেকে উত্তরপত্র সংগ্রহ করে, আবার কেউ একজন অন্যজনের খাতা দেখে পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। এ বিষয়টি ওই কেন্দ্রের কেউ একজন গোপনে ভিডিও করে বাহিরে প্রচার করে। বিষয়টি তখন প্রশাসনের নজরে আসে। কিন্তু ওইদিন ওই কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি ট্যাগ অফিসার হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন কচুয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সোহেল রানা। তার উপস্থিতিতে ওইদিনসহ প্রতিদিনই এভাবে ওপেন বই দেখে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিয়ে আসছেন বলে অভিযোগ ওঠে। আরও জানা গেছে, প্রতিদিন এই সুযোগ পেতে কেন্দ্র সচিব ও ট্যাগ অফিসারকে মোটা অঙ্কের টাকা প্রদান করা হতো। বিষয়টি নিয়ে ওই এলাকার অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও অভিভাবক ক্ষোভও প্রকাশ করেন। রুস্তম আলী কলেজের অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘কোন কক্ষে কী হয়েছে, সেটা আমি বলতে পারছি না। তবে এ ঘটনায় প্রশাসন দুই কেন্দ্রের সচিবকে পরিবর্তন করে ভারপ্রাপ্ত সচিব হিসেবে নতুন দুজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা হচ্ছেন পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক বিল্লাল হোসেন ও নিন্দুপুর মহীউদ্দীন খান আলমগীর স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। ওই এলাকার বাসিন্দা ইকবাল আজিজ বলেন, ‘এভাবে ছেলেমেয়েদের নকলের সুযোগ করে দিয়ে অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ক্ষতি করা হচ্ছে। জানা গেছে, কচুয়া উপজেলায় ৭টি কেন্দ্রেই এ অবস্থা দীর্ঘদিন ধরে বিরাজ করে আসছে। প্রশাসন এটি দেখেও রাজনৈতিক প্রভাবে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না।’ কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এহসান মুরাদ বলেন, ‘এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্ত করা হচ্ছে। কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডথেকেও একটি তদন্ত টিম আসবে।’

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম