
নিজস্ব প্রতিবেদক
১১ মে, ২০২২, 11:15 AM

ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে উত্তাল সাগর
ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে উত্তাল সাগর। স্বাভাবিকের চেয়ে জোয়ারের উচ্চতা ২ থেকে ৩ ফুট বেশি হচ্ছে। রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বুধবার (১১ মে) আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ জানান, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় অশনি উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি মধ্যরাত (১০ মে) চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৩২০ কিমি দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২৯০ কিমি দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ১৪৫ কিমি দক্ষিণপশ্চিমে, পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ১৭০ কিমি দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিমি এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কিমি, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১১৭ কিমি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ২ নাম্বার দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে উত্তাল বঙ্গোপসাগর। জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ২ থেকে ৩ ফুট উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে। বাতাসের গতিবেগও বাড়ছে। সমুদ্রবন্দরগুলোয় দেওয়া হয়েছে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত। সমুদ্রসৈকতে সতর্কতা বাড়িয়েছেন লাইফগার্ড কর্মীরা। অনেক পর্যটক এরই মধ্যে কক্সবাজার ছাড়তে শুরু করেছেন। এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সকাল থেকে বৃষ্টি হচ্ছে উপকূলীয় এলাকায়। নদীগুলোতে জোয়ারের পানি বেড়েছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্রের বেশ কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বৃদ্ধি পাচ্ছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে আবহাওয়া অফিস থেকে। চট্টগ্রাম বন্দর চ্যানেলে অবস্থানরত সব লাইটার জাহাজকে সদরঘাট ও শাহ আমানত ব্রিজ এলাকায় যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বৈরি আবহাওয়ায় মোংলা বন্দরে পণ্যবোঝাই ও খালাস কার্যক্রম ব্যাহত। সুন্দরবনসংলগ্ন সাগর ও নদীতে মাছ ধরার ট্রলার ও নৌকা এরই মধ্যে তীরে ফিরে এসেছে। গতকাল বিকেল নাগাদ রাজধানী ঢাকা কালো মেঘে ছেয়ে যায়। সারা দেশেই গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি থেকে হচ্ছে ভারি বৃষ্টিও। তবে, প্রবল ঘূর্ণিঝড় অশনি ক্রমশ দুর্বল হয়ে শুধু ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার আভাস দিচ্ছে আবহাওয়া অধিদফতর। এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় উপকূলীয় এলাকায় নেওয়া হয়েছে বাড়তি প্রস্তুতি। প্রস্তুত রাখা হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্র।