
NL24 News
১৪ ডিসেম্বর, ২০২১, 2:22 PM

গৃহবধূ সুপ্রিয়া হত্যা: শ্বশুর–শাশুড়িসহ ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
মানিকগঞ্জে কলেজছাত্রী ও গৃহবধূ সুপ্রিয়া সাহা হত্যা মামলায় সাত আসামির মধ্যে শ্বশুর শাশুড়িসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ড এবং তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এছাড়া বেকসুর খালাস পেয়েছেন সুপ্রিয়ার স্বামী দিপাঞ্জন সরকার (২৭)। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত তিন আসামির উপস্থিতিতে মানিকগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক জয়শ্রী সমদ্দার আলোচিত এই মামলার রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামি জামিন নিয়ে পলাতক রয়েছেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন,
সুপ্রিয়া সাহার শ্বশুড় দিলীপ সরকার (৬০), শাশুড়ি গীতা সরকার (৪৫) ও মানিকগঞ্জ পূর্ব দাশড়া গ্রামের দীলিপ রায়ের ছেলে মহাদেব রায় (২৭)। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, পূর্বদাশড়া গ্রামের রবীদ্র সাহার ছেলে রঞ্জিত সাহা (২৬), একই গ্রামের অরুণ পালের ছেলে বিষ্ণু পাল (২৬) ও একই গ্রামের রবি ঘোষের ছেলে রঞ্জিত ঘোষ (২৭)। মামলার বিবরণ ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে মানিকগঞ্জ পূর্ব দাশড়া গ্রামের সুকুমার সাহা মেয়ে সরকারি দেবেন্দ্র কলেজের অনার্স (বাংলা) দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সুপ্রিয়া সাহার সঙ্গে একই গ্রামের দিলীপ সরকারের ছেলে দিপাঞ্জন সরকারের বিয়ে হয়। পারিবারিক কলহের জের ধরে ভাড়াটিয়া খুনি দিয়ে ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর রাতে সুপ্রিয়াকে হত্যা করা হয়। শ্বশুর বাড়ির লোকজন বিষয়টি ডাকাতি বলে প্রচার করার চেষ্টা করে। ২৮ সেপ্টেম্বর সুপ্রিয়ার বাবা সুকুমার সাহা বাদি হয়ে সুপ্রিয়ার স্বামী দিপাঞ্জন সরকার, শ্বশুড় দিলীপ সরকার ও শাশুড়ি গীতা সরকারকে আসামি করে মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করেন মানিকগঞ্জ থানার উপপুলিশ পরিদর্শক মাসুদ মুন্সি। তদন্ত শেষে আলোচিত এই মামলায় আসামি করা হয় আরও চারজনকে। ২০১৬ সালে ২৯ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মাসুদ মুন্সি সুপ্রিয়া হত্যা মামলায় সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলায় মোট ১৪ জনের সাক্ষগ্রহণ করা হয়। মামলার রায় ঘোষণার পর মামলার বাদি সুপ্রিয়ার বাবা সুকুমার সাহা জানান, তিনি আসামি করেছেন সুপ্রিয়ার স্বামী দিপাঞ্জন, শ্বশুড় দিলীপ সরকার ও শাশুড়ি গীতা সরকারকে। পুলিশ তদন্ত করে আরও চারজনের নামে চার্জশিট দেয়। কিন্তু অন্য আসামিদের শাস্তি হলে মূল আসামি দিপাঞ্জনের শাস্তি হয়নি। এটা অত্যন্ত কষ্টকর। তারা জামিন নিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন পিপি আব্দুস সালাম ও এপিপি মথুর নাথ সরকার এবং আসামি পক্ষে ছিলেন আব্দুর রহমান, নজরুল ইসলাম বাদশা।