ঢাকা ২২ জুন, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
হজে ৩৮ বাংলাদেশির মৃত্যু, দেশে ফিরেছেন প্রায় ৪৩ হাজার হাজি ১৮ দিনে এলো ২২ হাজার কোটি টাকার বেশি রেমিট্যান্স শামীম ওসমানের দুই প্লট জব্দ, ২৯ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ অবশেষে শক্তিশালী সেই ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালাল ইরান উপদেষ্টা পরিষদে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন কালো টাকা সাদা করা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত গাজীপুর মহানগর প্রেসক্লাবের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত সাবেক ৩ সিইসির বিরুদ্ধে বিএনপির মামলা বাস-অটোরিকশার সংঘর্ষে প্রাণ গেল ৩ জনের মার্কিন হামলার পর দফায় দফায় ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করছে ইরান

গাইবান্ধায় ফের বাড়ছে নদ-নদীর পানি

#

নিজস্ব প্রতিনিধি

১১ জুলাই, ২০২৪,  3:46 PM

news image

গাইবান্ধায় আবারও বাড়ছে নদ-নদীর পানি। বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হলেও আবারও ব্রহ্মপুত্র, ঘাঘট ও তিস্তা নদীর পানি বাড়ছে। তবে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি এখনও বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সকাল ৯টায় গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ি উপজেলার তিস্তামুখঘাট পয়েন্টে ৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ঘাঘট নদীর পানি জেলা শহরের নতুন ব্রিজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে বইছে। করতোয়া নদীর পানি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার চকরহিমাপুর পয়েন্টে বিপৎসীমার ১১৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তার পানি সুন্দরগঞ্জ উপজেলা সংলগ্ন কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলার প্রধান নদ—নদীসহ সবগুলোর পানিবৃদ্ধি পাচ্ছে। এখনও গাইবান্ধার ৪ উপজেলা সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটার ২৬টি ইউনিয়নের প্রায় ৪০ হাজার পরিবার এখনও পানিবন্দি হয়ে রয়েছে। গাইবান্ধা শহর রক্ষা বাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে। ঘাঘট নদীর তীরে অবস্থিত শহর রক্ষা বাঁধ প্রায় তিন কিলোমিটার জুড়ে বড় বড় খানা-খন্দ সৃষ্টি হয়েছে। ঝুঁকি নিয়ে রাত্রি যাপন ও রাস্তা দিয়ে চলাচল করছেন এলাকার মানুষ। নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে যেকোনো সময় বাঁধ ভেঙে শহর ঢুকে বাড়ি-ঘর সরকারি অফিস আদালত প্রবেশ করতে পারে বলে আশঙ্কা করা যাচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, ২০১৯ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ড গাইবান্ধা ঘাঘট নদীর শহর রক্ষা বাঁধ সংস্কার করেন নামে মাত্র। বাহির থেকে মাটি না নিয়ে বাঁধের কোল ঘেসে বালু উত্তোলন করে বাঁধ নির্মাণের এমনটা তৈরি হয়েছে বলে জানান তারা। জেলার চার উপজেলার বন্যা কবলিত এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৮১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পাঠদান বন্ধ। অন্যদিকে, পানিতে নিমজ্জিত ও তলিয়ে গেছে ৩ হাজার ৮৯০ হেক্টর আউশ ধান,পাট, ভুট্টা ও আমন বীজতলা। তলিয়ে গেছে পুকুর ও মাছের ঘের। এসব এলাকার ফসলি জমিগুলো পানির নিচে তলিয়ে আছে। হাটু ও কোমর পানির নিচে এসব এলাকার মানুষের বাড়িঘর। শুকনো জায়গা না থাকায় রান্নাবাড়ি করতে পারছেন না। ফলে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানি সঙ্কটে পড়েছেন তারা। দীর্ঘদিন পানিতে থাকায় এসব দুর্গত এলাকার মানুষ নানা রকম রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছেন। জ্বর, সর্দি, কাশি, পেটের অসুখ ও হাতে পায়ে ঘা দেখা দিয়েছে এসব এলাকার মানুষের।

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম