
নিজস্ব প্রতিনিধি
১৪ মে, ২০২২, 2:58 PM

গলাচিপায় চুরি অভিযোগে এক কিশোরকে শিকলে বেঁধে নির্যাতন
পটুয়াখালীর গলাচিপায় চুরি অভিযোগে এক কিশোরকে শিকলে বেঁধে নির্যাতন করা হয়। বিষয়টি সামাজি যোগাযোগের মাধ্যমে একটি ভিডিও ছরিয়ে পড়েছে। এদিকে নির্যাতনের পর থেকে ওই কিশোরের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে তার পরিবার। গত ৯ এপ্রিল গলাচিপা উপজেলার সদর ইউনিয়নে ০৯ ওয়াড বোয়ালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ভিডিওতে দেখা যায়, শাহজাহান হাওলাদারের ছেলে কিশোর মুন্নাকে একটি গাছের সাথে লোহার শিকলে বেঁধে বোয়ালিয়া রাড়ী বাড়িতে ওই বাড়ির নিজাম রাড়ীর জামাই হজরত আলী বেধরক মারধর করে। এসময় আশেপাশে দায়িয়ে এই নির্যাতনের দৃশ্য দেখছে ওই বাড়ির লোকজন। ঘটনাকালে কিশোরকে উদ্ধারের বদলে অনেককে ভিডিও করতেও দেখা গেছে। মারধরে মুন্নার শরীরে রক্তাক্ত জখম হতেও দেখা গেছে। মুন্নার পরিবারের অভিযোগ গত ৯মে থেকে ১১ মে মধ্যরাত পর্যন্ত দফায় দফায় মুন্নার উপর এ অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়। ওই কিশোরকে ১১মে রাতের পর থেকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। মুন্নার সৎ মা হাসিনা বেগম বলেন,
আমার স্বামী ঢাকায় থাকে তার অসুস্থতার কারনে কয়েকদিন আগে আমি ঢাকায় যাই মুন্না বাড়িতে ছিলো। নির্যাতনের খবর পেয়ে আমি বাড়িতে এসে শুনি আমার ছেলেকে টাকা চুরির অপবাদ দিয়ে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। তাকে দফায় দফায় হজরত আলী, ফেরদৌস, শামিম, মমতাজ এবং তানিয়া অমানবিক নির্যাতন করেছে। আমি বাদী হয়ে ১৩মে এদের বিরুদ্দে গলাচিপা থানায় একটি অভিযোগ করেছি। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন টুটু বলেন, আমি চুরির বিষয়ে শুনেছি এবং ওই বাড়ির লোকদের বলেছি মুন্নাকে তার বাবা-মায়ের কাছে ঢাকায় দিয়ে আসো। পরবর্তিতে ভিডিও ফুটেজে আমি দেখতে পারি ছেলেটাকে শিকল দিয়ে বেঁধে অমানবিক নির্যাতন করেছে। অপরাধীদের বিরুদ্দে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। গলাচিপা থানা অফিসার ইনচার্জ এম আর শওকত আনোয়ার জানায় অভিযোগ পেয়ে ওসি (দতন্ত) মো. আতিকুর রহমানের নেতৃত্বে এস আই মৃনাল ও নারী পুলিশ সদস্যরা তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে শামিম, মমতাজ ও তানিয়াকে গ্রেফতার করে। বাকি আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।