
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৪ আগস্ট, ২০২২, 11:08 AM

গয়েশ্বরের নেতৃতে বিএনপির প্রতিনিধি দল ভোলায়
পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে দুজন নিহতের প্রকৃত ঘটনা জানতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) ভোলায় পৌঁছেছে। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে তাদের কথা বলার কথা। সংবাদ সম্মেলন শেষে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আবদুর রহিমের বাড়ি যাবেন প্রতিনিধিদলটি। গত ৩১ জুলাই ভোলায় জেলা বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আবদুর রহিম। ওই সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হন।সেই বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন জেলা ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলম। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে ভোলা সদর হাসপাতাল ও পরে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে দুদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে বুধবার (৩ আগস্ট) বিকেল ৩টায় মারা যান নুরে আলম। নুরে আলমের মৃত্যুর প্রতিবাদে বুধবার (৩ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টায় নিহতের চরনোয়াবাদের বাসার এলাকা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিএনপি নেতাকর্মীরা। মিছিলটি চকবাজারের মাথায় এসে পৌঁছলে তাৎক্ষণিক এক প্রতিবাদ সভা করে বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) সকাল-সন্ধ্যা ভোলায় হরতালের ঘোষণা দেন জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর। এদিকে জেলা ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলমের মৃত্যুর প্রতিবাদে ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতালের শুরুতে বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) সকাল ৭টা ৫০ মিনিটের দিকে শহরের মহাজন পট্টি জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে ঝটিকা মিছিল করে জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ সময় মহাজন পট্টি জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিলটি বের হয়ে সদর রোডের বাংলাস্কুল মোড় পর্যন্ত ঘুরে পুনরায় দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলকারীরা হরতালের সমর্থনে স্লোগান দেয়। অন্যদিকে যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে জেলা বিএনপি কার্যালয়সহ শহরে মোতায়েন রয়েছে বিপুল সংখ্যক পুলিশ।