
নিজস্ব প্রতিবেদক
১৯ জুলাই, ২০২২, 12:07 PM

কর্ণফুলী টানেলের ৮৭ ভাগ কাজ শেষ, ডিসেম্বরে চালুর সম্ভাবনা
কর্ণফুলী নদীর তলদেশে এই টানেলের মূল অবকাঠামো দুটি টিউবই প্রায় প্রস্তুত। যার সংযোগ পথ বা ক্রস প্যাসেজ সম্পন্ন হয়েছে একটি। চলছে বাকি দুটির কাজ। ৯০ ভাগের বেশি তৈরি টানেলের দুইপ্রান্তে ৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক। যার মধ্যে ৭শ ২৭ মিটার ভায়াডাক্ট বা সেতুর কাজও শেষ। সবমিলে ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পের বাকি ১৩ শতাংশ কাজও শেষ করতে চলছে জোর চেষ্টা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের প্রকল্প পরিচালক হারুনুর রশিদ চৌধুরী বলেন, আমাদের প্রজেক্ট ইনশাআল্লাহ জুন পর্যন্ত এভারেজে ৮৭ শতাংশ কাজ শেষ করেছি। আমরা চেষ্টা করছি ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করতে। তবে কিছুটা উদ্বেগের শেষদিকে এসে ৭শ কোটি টাকার মতো ব্যয় বেড়ে যাওয়া। এজন্য দায়ী করা হচ্ছে, ডলারের দর আর চীনের মুদ্রাকে ডলারে রূপান্তর চার্জের ঊর্ধগতিকে। সাথে নতুন খরচ যোগ হচ্ছে স্ক্যানার কেনায়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের প্রকল্প পরিচালক হারুনুর রশিদ চৌধুরী বলেন, আসলে কিন্তু আমাদের বিবিধ খরচ বাড়তো না। কিন্তু আপনি চিন্তা করে দেখবেন একচেঞ্জ রেইটের জন্য বাড়ছে ১৫০-২০০ কোটি টাকা। স্ক্যানারের জন্য ৩৫০-৪০০ কোটি টাকা। বিশ্লেষকরা বলছেন, ব্যয় নিয়ন্ত্রণে বৈশ্বিক কিংবা স্থানীয় সব ইস্যুকেই মোকাবেলা করতে হবে সতর্কতার সাথে। আর ব্যবসায়ীরা মনে করেন, টানেলের মাধ্যমে বিনিয়োগ-বাণিজ্যের যে নতুন দুয়ার খুলছে তাকে কাজে লাগাতে এখনই দরকার রোডম্যাপ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সেলিম উদ্দিন বলেন, বলতে পারতেন যে আমাদের ডলারের রেটটা কনসটেন্ট থাকবে। এত টাকা দিয়ে আমরা আপনাকে ডলারটা কিনে দেবো। চট্টগ্রাম চ্যাপ্টারের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরামের চেয়ারম্যান এস এম আবু তৈয়ব বলেন, নদীর ওপার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত আপনি যতক্ষণ পর্যন্ত ছয় লেনের একটা মহাসড়ক না করছেন ততক্ষণ পর্যন্ত আপনি এই টানেলের পরিপূর্ণ ফলাফল পাওয়াটা দুরুহ হবে। ৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার দীর্ঘ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে। যার ব্যয় ধরা হয়েছিল ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা।